সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান বিতর্ক মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম।
নতুন দেশ নামের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন...দলের শেষ পদটিও হারালেন ডা. মুরাদ
এতে আরও বলা হয়, কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
মুরাদকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ইকে ৮৫৮৫ বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করেন ডা. মুরাদ।
গতকাল বুধবার ডা. মুরাদ কানাডা যাওয়ার উদ্দেশে উড়োজাহাজের টিকিট কাটেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মুরাদ হাসানের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি পদত্যাগের দিন (৭ ডিসেম্বর) নিজের হাতে নিয়ে গেছেন তিনি।
অশালীন ও নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ডা. মুরাদ হাসান।
এদিকে, ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতোমধ্যে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটও দায়ের করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মুখে বিতর্কিত এই নেতা দেশত্যাগ করলেন।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০