মান্দা প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় তক্ষক (গেকোনিডি গোত্রের গিরগিটি প্রজাতি) বেচাকেনা চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের মংলাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে আগত চার ব্যক্তিকেও হেফাজতে নেয় পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মান্দার মৈনম ইউনিয়নের মংলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুস সালাম সরদার (৫৫), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুচুটি গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে এরশাদুল্লাহ (৪৮), নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার গোড়াতনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাসান ইমাম (৩২), শেরকৈ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ছানোয়ার হোসেন (৩৫), ইটানী গ্রামের সুজন কুমার (৩০) ও রানীনগর গ্রামের ইব্রাহীম আলীর সবুজ (৩০)।
তবে পুলিশের দাবি, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চার ব্যক্তি কোরবানির গরু কিনতে এসে প্রতারনার শিকার হন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মান্দা উপজেলার মংলাপাড়া গ্রামের প্রতারক চক্রের গডফাদার এনামুল হক, আটককৃত আব্দুস সালাম ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা এরশাদুল্লাহ একটি তক্ষক বিক্রির কথা বলে সিংড়ার হাসান ইমাম, ছানোয়ার, সুজন ও সবুজকে ডেকে নেন। তাদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকাও নেয়া হয়। কিন্তু তক্ষক না দিয়ে টালবাহানা শুরু করলে আগতরা পুলিশের স্মরণাপন্ন হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালাম ও এরশাদুল্লাহকে আটকসহ আগত সিংড়া উপজেলার চার ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
আটককৃত আব্দুস সালাম বলেন, ঘটনার দিন আমার বাসায় মংলাপাড়া গ্রামের এনামুল হক, কুমিল্লার এরশাদুল্লাহসহ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বাবলু, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আব্দুর রশিদ ও রাঙ্গামাটি জেলার সোহেল রানা উপস্থিত ছিলেন। তারা কি কারণে সিংড়া উপজেলার চার ব্যক্তিকে ডেকে নিয়েছেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রাত ৮টার দিকে পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এনামুল, বাবলু ও রশিদ পালিয়ে যায়।’
পুলিশি হেফাজতে থাকা সিংড়ার হাসান ইমাম জানান, ‘সহযোগী সবুজ রাজশাহীর সিটি হাটে গরু
কিনতে এসে আব্দুস সালামের সঙ্গে পরিচয় হয়। ভাল জাতের গরুর প্রলোভন দিয়ে সালাম তার বাসায় সবুজকে নিয়ে যান। বায়না হিসেবে সবুজের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকাও নেয়া হয়। কিন্তু গরু না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকলে আমাকে সংবাদ দেন সবুজ। পরে আমি ছানোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সালামের বাড়িতে আসি। পরে পুলিশ আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে।’
মান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আব্দুস সালাম ও এরশাদুল্লাহকে আটকসহ আগতদের হেফাজতে নেয়া হয়। ঘটনায় সিংড়ার সবুজ বাদি হয়ে থানায় প্রতারনার একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে তারা তক্ষক বেচাকেনা চক্রের সদস্য কি-না তদন্তে সেটি জানা যাবে।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০