খবর ২৪ ঘণ্টা, বিনোদন ডেস্ক: সঞ্জয় লীলা বনশালীর ‘পদ্মাবত’ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এমনকি বিতর্কের জেরে ছবির নাম পর্যন্ত পাল্টাতে হয়েছে। অনেক টানাপোড়েনের পর অবশেষে সেই ছবি মুক্তি পেয়েছে। এবার সেই ‘পদ্মাবত’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী সারা ভাস্বর। ছবিটি দেখে তিনি বলেন, এই ছবি দেখার পর তাঁর নিজেকে নিছকই ‘ভ্যাজাইনা’ ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি।
তাঁর মতে, এই ছবি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে, একজন মহিলা বিধবা, ধর্ষিতা কিংবা গর্ভবতী হলে তার বাঁচার অধিকার রয়েছে কিনা। পরিচালক বনশালীর উদ্দেশে সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে তিনি। এক খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সতী ও জওহরের মত প্রথাকে কেন মহান বলে বর্ণনা করা হল ছবিতে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘ধর্ষিতা হলেও একজন মহিলার বাঁচার অধিকার আছে। স্বামী কিংবা তার রক্ষক, মালিক বা যৌনতার নিয়ন্ত্রকের মৃত্যুর পরও তার বাঁচার অধিকার আছে। একজন পুরুষ ছাড়াই মহিলার স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার উচিৎ।’
তিনি আরও লিখেছেন, যেহেতু বনশালীর ছবি দর্শকদের আবেগে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই সেই ছবির প্রভাবের দায়িত্ব নিতে হবে পরিচালককেই। তাঁর মতে, ১৩ শতকের জহরব্রত প্রচলিত থাকলেও, একবিংশ শতাব্দীতে এসে তাকে মহিমান্বিত করার কোনও মানেই হয় না।
স্বারা লিখেছেন, ‘মহিলা মানেই শুধু ভ্যাজাইনা নয়। হ্যাঁ, মহিলাদের ভ্যাজাইনা আছে ঠিকই, সেইসঙ্গে আরও অনেক কিছু আছে। তাদের পুরো জীবনটা শুধুমাত্র ভ্যাজাইনাকে ঘিরে নয়। শুধু ভ্যাজাইনাকে নিয়ন্ত্রণ করা, রক্ষা করা, তার শুদ্ধতা বজায় রাখাই মহিলাদের একমাত্র কাজ নয়। ভ্যাজাইনাকে যদি সম্মান জানানো হয়, তাহলে খুবি ভাল। কিন্তু কেউ তার অনুমতি না নিয়ে ভ্যাজাইনার সম্মানহানি করলেই তাকে মৃত্যুর শাস্তি বহন করতে হবে কেন?’ অর্থাৎ অভিনেত্রীর মতে, ভ্যাজাইনা ছাড়াও মহিলাদের জীবনে আরও অনেক কিছু আছে। ধর্ষণের পরও একটা জীব থাকে।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০