ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২১মে মঙ্গলবার ভোলাহাট উপজেলার প্রকৃত কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভিন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরমান হোসেন , উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক উমে¥কুলসুম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিরুল ইসলামসহ অন্যরা। এ দিন বীরশ্বরপুর ও তীলোকি গ্রামের ২জন কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধান কেনা হয় ২৬ টাকা ও গম ক্রয় করা হচ্ছে
২৮ টাকা দরে। উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা যাতে ধানের দাম পায় ও প্রকৃত কৃষক যাতে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার যাছাই-বাছাই করে কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে দিয়েছেন। এবার এ উপজেলা থেকে ১ শত ৬৩ মেট্রিক টন ধান ও ১১৬ মেঃ টন গম কেনা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন বলেন, দেশে কৃষকরা ঠিক মতো ধানের দর পাচ্ছেন না। তাই ভোলাহাট উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা প্রকৃত দাম পান। সরাসরি কৃষকদের তালিকা করে দেয়া হয়েছে। একজন কৃষক কমপক্ষে ৩ টন ধান সরকারকে দিতে পারবেন। এবার গ্রামে এসে ধান কেনায় তারা সহজেই ধান বিক্রি করতে পারবেন। এতে কৃষকরা
হয়রানি হবে না বলে কৃষক জানান। ২৬ টাকা কেজি ধান বিক্রি করে তাদের লাভ থাকছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকেরা। একাধীক কৃষক জানান, কমপক্ষে এ উপজেলায় ২ /৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা উচিত। তাতে কৃষকরা কিছুটা লাভবান হতো। তারপরও উপজেলা প্রশাসন থেকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কৃষকদের জন্য ভালো হবে। একই দিনে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান ক্রয় উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভিনসহ অন্যরা।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০