আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে অবৈধভাবে বিএনপির জন্ম হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টে বসে গোয়েন্দাদের সহায়তায় এই বিএনপির জন্ম। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতেন না। তিনি এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ইতিহাস বিকৃত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের স্বাধীনতার ভাষণ, জয় বাংলা স্লোগান তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে কারচুপি শুরু করেছিলেন। ছাত্রদের হাতে বইয়ের বদলে অস্ত্র তুলেছিলেন। হ্যাঁ-না ভোটে না এর বাক্স পাওয়া যেত না। কেবল হ্যাঁ-এর বাক্স পাওয়া যেত। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। ভোট চুরি করলে জনগণ জানে সেই সরকারকে কীভাবে উৎখাত করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষও জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কথা বলেছিল। এখনো অনেকে আছে খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার সঙ্গে। মানিলন্ডারিং, অস্ত্র কারবারি ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার আসামি তারেক। খালেদা এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলার আসামি। এ অপরাধীদের সঙ্গে এখন অনেক জ্ঞানী-গুণীও গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীজীবী। তারা খালেদা-তারেকের সঙ্গে গিয়ে মিলেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি কিছু রাজনীতি শিখেছে আমাদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন করে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন আমরা করি, তখন ওই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তারা কিছু শিখেছে। এটাই বাস্তবতা। তাছাড়া তাদের রাজনীতি আর কী ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জিতবে কীভাবে? তারা এক আসনে তিন প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে বিএনপির নমিনেশন হচ্ছে ‘ফেল কড়ি মাখো তেল’। আমার কাছে বিএনপির দুইজন নেতা অভিযোগ করে বলেছেন নির্বাচনে নমিনেশনের জন্য তারেক টাকা চেয়েছে। টাকা দিতে না পারলে বাদ। ওই ভাবে নির্বাচনে জেতা যায় না। যে দলের এই অবস্থা তারা গণতন্ত্র উদ্ধার করবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতাই এসেছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে। করোনা, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের শক্তি জনগণ। আমাদের পেটোয়া বাহিনী লাগে না।
সম্মেলনের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০