খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
গত সোমবার থেকে শুরু হয়ে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ক্যাম্পটি। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবস্থা মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
শূন্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে রোহিঙ্গারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। খাবার সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছেন এখানকার রোহিঙ্গারা।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাহাড়ি ঢল এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৃষ্টি বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।
তুমব্রু খালের মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করায় সীমান্ত খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে না পেরে বাধাগ্রস্ত হয়ে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে সে মন্তব্য করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও প্লাবিত হয়েছে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া, পশ্চিমপাড়া, বাজারপাড়া, মধ্যমপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা। ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি তলিয়ে গেছে। এতে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্তের তুমব্রু খালে মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করে নিচে নেট তৈরি করায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে তুমব্রু বাজারসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও খাদ্য থেকে শুরু করে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বৃষ্টির পানিতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্লাবিত হওয়ার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার ক্যাম্পে পানি উঠলেও বুধবার সকালে খবর নিয়ে জেনেছি পানি নেমে গেছে। এর পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সব সময় খবর রাখা হচ্ছে। যাতে বড় ধরনের কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
বিশুদ্ধ খাবার, পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারে রোহিঙ্গাদের ঝুঁকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাব।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের পর থেকে তুমব্রু কোনারপাড়া জিরোলাইনে অবস্থান নেন প্রায় ৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা। পরবর্তী সহস্রাধিক রোহিঙ্গা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে ঢুকে পড়লেও গত তিন বছর ধরে শূন্যরেখার খালের কিনারে বসবাস করে আসছেন প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গা।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০