খবর২৪ঘন্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরাখন্ডের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে নেপাল। সম্প্রতি দেশটির মন্ত্রিসভা এ তিনটি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্রের অনুমোদনও দিয়েছে।
মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকের পর নেপাল সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাটিওয়াদা ঘোষণা দিয়েছেন, অনতিবিলম্বে নতুন মানচিত্র কার্যকর হবে। এটি স্কুল-কলেজের বইপত্র, সরকারি প্রতীক এবং অফিস-আদালতের সব কাগজপত্রে এখন থেকেই ব্যবহার করা হবে।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই বিরোধ চলছে। বর্তমান বিতর্ক হচ্ছে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিমপিয়াধুরা নিয়ে। নেপালের উত্তর-পশ্চিম অংশে এগুলো অবস্থিত। এর দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন এবং উত্তরে চীনের তিব্বত। ভারত, নেপাল ও চীন- তিন দেশের একটি সংযোগস্থল হওয়ায় কৌশলগত দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় ভূখণ্ডটিকে।
গত ৮ মার্চ ভারতীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডের পিথাউরাগড়-লিপুলেখের মধ্যে একটি সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিষয়টি মোটে ভালোভাবে নেয়নি নেপাল। এ বিতর্কের জেরে কয়েক দিন আগে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনেরও ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। এ নিয়ে নেপাল-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হযয়েছে অনেকটা।
রাজনাথ সিং যখন ওই সড়কটির উদ্বোধন করেন, সে সময় নেপাল কাঠমান্ডুতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি কূটনৈতিক নোট দেয়। পরবর্তীতে ওই সড়কের ব্যাপারে নেপাল সরকারের আপত্তি অন্য কারও নির্দেশের প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন ভারতের চিফ অব আর্মি স্টাফ মনোজ নারাভানে। তিনি সরাসরি না বললেও এখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে চীনের কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্বাস কূটনৈতিক বোদ্ধাদের।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, বিবিসি বাংলা
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০