খবর২৪ ঘণ্টা, স্পোর্টস, ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সেই শিহরিত ফুটবলীয় উপভোগ্য সময়। আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় বিশ্বকাপের মাঠে ফুটবল লড়াই শুরু হবে। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরব। সম্প্রতি ফুটবলীয় দক্ষতায় দু'দলের পাল্লা সমান। তাই কাউকে ঠিক ফেবারিট বলা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার মস্কোর লুঝনিয়াকি স্টেডিয়ামে দু'দলে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
তীর্থের কাকের মতোই চেয়ে আছেন বিশ্বের ফুটবল পিয়াসীরা। ক্রীড়া যজ্ঞের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিকস হলেও আকর্ষণের দিক থেকে ফুটবল বিশ্বকাপ অতুলনীয়। কারণ দুনিয়ার ফুটবল শৈলীদের সেরা ক্যানভাস হলো। বিশ্বকাপের মঞ্চ। অনেক সুখ-দুঃখের গল্পের গাঁথুনিতে রচনা না হবে চ্যাম্পিয়ন দেশটির নাম। একটি ট্রফি জয়ের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। প্রস্তুত ৩২টি দল। প্রস্তুত মহরণের মঞ্চ। উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামবে স্বাগতিক রাশিয়া ও এশিয়ার প্রতিনিধি সৌদি আরব।
মস্কো এখন বিশ্বকাপের শহর। দেশটির অন্যতম প্রধান ভেন্যু লুঝনিকি স্টেডিয়াম তৈরি বিশ্বকাপের কিক অফের বাঁশি বাজাতে। আর তৈরি হয়ে আছে কোটি কোটি দর্শক। নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশগুলো।
১১ শহরের ১২টি ভেন্যু। রাশিয়ার এই ১২টি ভেন্যুতেই ফুটবলযুদ্ধে নামবে বিশ্বের সেরা ৩২টি দেশ। সেই সেরাদের সেরা কে হবে? খেলাধুলার সবচেয়ে দামি ট্রফিটি উঠবে কোন দেশের অধিনায়কের হাতে? সেই সময়টা দ্রুতই তো চলে আসবে আগামী কালের পর থেকে। রাত পোহালেই যে শুরু হচ্ছে, গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বিশ্বকাপ ফুটবল!
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক রাশিয়া এবং ‘এ’ গ্রুপে তাদের এশিয়ান প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় রেফারির মুখে বেজে উঠবে কিক অফের বাঁশি। আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা পরিচালনা করবেন ম্যাচটি।
এই বিশ্বকাপের আয়োজন রাশিয়ার জন্য অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। না, দল হিসেবে নয়। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন তাদের নেই। সম্ভাবনাও নেই; কিন্তু তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায় আয়োজক হিসেবে। এর আগে ১৬টি দেশের সৌভাগ্য হয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের। কোনো কোনো দেশ একাধিবার। প্রথমবার আয়োজক হয়ে অন্যদের ছাড়িয়ে যাওয়ার অদম্য বাসনা রয়েছে রাশিয়া। দেশটির সরকার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিনের।
বুধবার মস্কোয় অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে পুতিন সারা বিশ্বকে স্বাগত জানান তার দেশে বিশ্বকাপকে উপভোগ করার জন্য। একই সঙ্গে এতবড় একটি আয়োজনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্যও সারা বিশ্বের ফুটবল পরিবারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের বড় একটি টুর্নামেন্টের আয়োজনের কাজ শুধু মাত্র স্বাগতিক দেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিশাল পরিমাণে বিশেষজ্ঞছাড়া এত বড় একটি কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সারা বিশ্বের ফুটবল পরিবার যেভাবে উৎসাহ জুগিয়ে গেছে, এটা ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চান, যারা রাশিয়ায় বিশ্বকাপ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন তাদের ভুল প্রমাণ করে দিতে। সেই ইচ্ছা বাস্তবায়নে পুতিনকে যেন অবিরাম সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন আরেক ‘ভ্লাদিমির’- ভ্লাদিমির ইলিচ লেলিন। লুঝনিকি স্টেডিয়ামের সামনে লেলিনের সুবিশাল মূর্তি যেন হাত উঁচিয়ে জানান দিচ্ছে, তার দেশের বিশ্বকাপ হতে হবে সবার চেয়ে সেরা।
লুঝনিকি স্টেডিয়াম নিয়ে গর্ব করতে পারেন রাশিয়ানরা। গর্বের অনেক জায়গাও আছে। এখানেই লুকিয়ে রয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল। ২১তম বিশ্বকাপের ট্রফিটা তো এই স্টেডিয়ামের সাজানো-গোচানো পোডিয়ামই তুলে দেবে বিশ্ব বিজয়ী অধিনায়কের হাতে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০