বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পর এবার দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাশকতার অভিযোগ ও বিস্ফোরক আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আলালের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে হাজিরের পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ও আলাল নিজে তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালতে শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। ওই মামলায় মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০