বাঘা প্রতিনিধি খবর ২৪ ঘণ্টা.কম: রাজশাহীর বাঘায় রাতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার পর সোমবার (০৪-০৬-১৮) সকালে আত্মসর্মপন করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশের দাবি হাতকড়া নিয়ে পালানোর বিষয় সত্য নয়।
রোববার (০৩-৬-১৮) রাতে পৌরসভার চকছাতারি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাদক বিখ্যাত সুলতান ও তার স্ত্রী রানু বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর কৌশলে পালিয়ে যায় সুলতান। পরে মেয়ে সীমার মাধ্যমে তার বাড়িতে ফিরে আত্মসর্মপন করে। সেখান থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান,রোববার রাত সাড়ে ১১টায় সাদা পোষাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সুলতানের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার স্ত্রী রানু বেগমকে আটক করে। পরে সুলতানের জামাই হুসেন আলী ও মেয়ে সীমাকেও আটক করা হয়। লেনদেনের মাধ্যমে মেয়ে জামাইকে ছেড়ে দেওয়ার ফাঁকে রাত ১২টার পর হাতকড়া পরানো অবস্থায় পালিয়ে যায় সুলতান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নারি-পুরুষরা জানান, সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার বলিহার গ্রামের সুরেন সরকারের আমবাগান থেকে তার মেয়ে ও জামাই হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় সুলতানকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে, হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালানোর অভিযোগটি অস্বিকার করে পুলিশ। ডিইটি অফিসার জানান,৫৭ পিচ ইয়াবাসহ তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআই মুনজুরুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এসআই মুনজুরুলের সাথে যোগাযোগ করলে,তিনি বলেন,অভিযানে ওসি (তদন্ত) হীরেন্দ্রনাথ সহ বেশ কয়েকজন অফিসারসহ ফোর্স ছিল। তাদের সাথে কথা বলেন। মুঠোফোনে হীরেন্দ্রনাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান বলেন, সকালে তাকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার নামে মাদক বেচা কেনার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে স্বামী-স্ত্রী। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে মেয়ে জামাই। মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও জামিনে এসে একইভাবে ব্যবসা করতে থাকে। আর এ কারণে বাঘা পৌর টার্মিনাল এলাকা মাদকের স্বর্গরাজ্যে হিসেবে পরিনত হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০