নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ২৫ বছর বয়সে ৪টি বিয়ে করেছেন জুয়েল। অত্যাচারে তিন স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সর্বশেষ বিয়ে করেছেন উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে সুবর্না (২০) কে। বছর খানেক আগে লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে সুবর্নাকে বিয়ে করেন জুয়েল। এ স্ত্রীও রেহাই পাইনি তার নির্যাতনের হাত থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে চতুর্থ স্ত্রী সুবর্নার ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরে সিগারেটের ছ্যাকা দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছেন। খবর পেয়ে তার মা নাজমা ও ভাই দুলাল রাত ৮ টায় বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানান, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার হাসপাতালের আন্তঃ বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে মা নাজমা বেগম। গৃহবধূ সুবর্না জানান, স্বামী জুয়েলের এক হাত দিয়ে তার দুই হাত ধরে রেখে পরনের পায়জামার ওপর দিয়ে সিগারেটের জ¦লন্ত আগুন চেপে ধরে নির্যাতন করে। সেই আগুনে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। শুধু এবারই নয়, বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অন্তসত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। পেটে লাথি মারার কারণে রক্তক্ষরণে তার সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়। গরীব
পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল বলেন, শুধু আমারই নয়, তারও একাধিক বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল না করে নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে বাকবিতÐা হয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, শুক্রবার = সুবর্না বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন।
এস/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০