বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে উপজেলার আলাইপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ লালন নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত লালনকে (২২-০৫-১৮) মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, উপজেলার আলাইপুর গ্রামে আবদুর রাজ্জাকের ছেলে বখাটে সবুজ হোসেন একই এলাকার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত। এর প্রতিবাদ করে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার কিশোরপুর গ্রামের আজিম আলীর ছেলে সুজন আলী, সাজদার হোসেন মাঝির স্ত্রী সাজেদা বেগম, ছেলে আজমুল হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আজমুল হোসেনের স্ত্রী সুজেলা বেগম। তাৎক্ষনিক বখাটে সবুজ আলী, লালন আলীসহ ১২ থেকে ১৫ জনের একটি দল ধারালো হাসুয়া, চাকু ও লাঠি নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। তাদের এই আক্রমনে সবাই আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে করা হয়। পরে তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলীর পেটে চাকুর আঘাতে ভূড়ি বের হয়ে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিএইতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানান। তবে এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার অভিযুক্ত আসামী কিশোরপুর গ্রামের বাশের আলীর ছেলে বখাটে লালন হোসেনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্কুল ছাত্রীর চাচা এই প্রতিবেদকে জানান, আমার ভাতিজা স্থানীয় আলাইপুর হাইস্কুলে পড়ালেখা করত। তাকে প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে সবুজ। তারপর বিষয়টি সবুজের পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। আমরা নিরুপায় হয়ে তার উত্ত্যক্ত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার এলাকা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে মেয়ের নানার বাড়ির বড়বড়িয়া হাইস্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়। সেখানে গিয়েও সবুজ রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে। তারপর মেয়ের রমজান উপলক্ষে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে আসে। সোমবার সবুজ, লালনসহ তারা ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি দল মেয়ের বাড়িতে এসে অকথ্যভাায় কথা বলে। প্রথমে এর প্রতিবাদ করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আলী। এ সময় তারা মেয়ের পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হীরেন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, এই বিষয়ে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জের হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০