বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডাক্তার আবদুল কাদিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় দূর্নীতি দমন কমিশন অফিসে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলা পশু সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডাক্তার আবদুল কাদির ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারী থেকে ২০১৭ সালের ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
এ সময় তিনি টেন্ডার ছাড়া আম বিক্রি, অফিস চত্বরে প্রতি মাসে ঘাস বিক্রি, অফিসে সরকারী ওষুধ না দিয়ে, বাইরে বিক্রি করে টাকা আত্নসাত করেছে। এছাড়া তিনি একই স্থানে ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধী সাত বছর যাবৎ চাকুরী করছেন, পশুর চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের সাথে অসৎ আচরন, নিজের আধিপত্তর বিস্তারসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি ভূক্তভূগিরা।
উপজেলার বলিহার গ্রামের ভূলু মিয়া, সোহাগ হোসেন, বাদশা আলী, সাহাবাজ আলী, উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের ইদ্রিস আলী, মোমিন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পালনকৃত পশুর চিকিৎসা নিতে গেলে খারাপ আচরণ করেন ভেটেনারী সার্জন ডাক্তার আবদুল কাদির।
এছাড়া কয়েকবার তার কাছে পশু নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেছি, কোন বারই সরকারী ওষুধ দেননি। তিনি সরকারী ওষুধ না দিয়ে শুধু ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।
বাঘা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডাক্তার আবদুল কাদির বলেন, আমি এখানে সাত বছর যাবৎ চাকরি করছি এটি সত্য। তবে অন্যান্য অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।
আমার বিরুদ্ধে কিছু স্বাার্থান্বেষী একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে পশু ডাক্তার হিসেবে আমার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। টেন্ডার ছাড়া আম, ঘাস ও বাইরে ওষুধ বিক্রির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০