বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় ৪ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তবে এরা কেউ বাগমারায় অবস্থান করেন না বলে জানা গেছে। লেখাপড়া এবং চাকরীর প্রয়োজনে তারা সবাই ঢাকা এবং রাজশাহীতে অবস্থান করছিল। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তরা হলেন, বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮), বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির আহম্মেদ(১৮), গনিপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৫) এবং উর্মি নামের আরো একজন। এদের সবার রক্তে ডেঙ্গু রোগের জীবানু পাওয়া যায়।
জানা গেছে, রবিউল ইসলামের বাবা আলতাফ হোসেন ঢাকায় বন্ধু মেরীন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করেন। বাবার চাকুরির সুবাধে তারা ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে বসবাস করেন। সেখান থেকে গত ৬ আগস্ট ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি আসেন। গ্রামের বাড়ি আসার পর থেকে রবিউল ইসলামের শরীরে প্রচন্ড জ্বর আসে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার একটি ক্লিনিকে এসে রক্ত পরীক্ষা করে এবং সেখানে ডেঙ্গু রোগের জীবানু ধরা পড়ে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সাব্বির আহম্মেদ রাজশাহীতে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি কোচিং করতে রাজশাহীতে থাকতো। কয়েক দিন আগে বাড়ি আসে পরিবারের সাথে ঈদ করতে। গত বুধবার প্রচন্ড জ্বর দেখে তারাও। পরে ভবানীগঞ্জ বাজারের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষা করলে তার দেহে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে। সাব্বির আহম্মেদের পিতা রানী রিভার ভিউ হাউস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সাব্বির কোচিং করতে রাজশাহীতে থাকতো সেখানেই এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর মেডিকেলে ভর্তি করেছি।
অপর দিকে বাগমারা গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে খাইরুল ইসলাম ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরী করেন। সেখানেই তার ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এছাড়াও উর্মি নামে একজনের দেহে ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার আহŸান জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কর্ণার খোলা হয়েছে সেখানে মশারীও রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান। পাশাপাশি বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও ডেঙ্গু সনাক্ত করতে পর্যাপ্ত কীট মজুদ রাখা হয়েছে। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যে সব স্থানে এডিস মশা জন্মাতে পারে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবীর জানান, বাগমারার কোথায় এখনও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। যে গুলোর ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তারা সবাই ঢাকা বা বাহির থেকে এসেছে। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কর্ণার খোলা হয়েছে। এখানে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করা হচ্ছে । ডেঙ্গু রোগীর সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ডাক্তারা সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০