প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের অর্থপাচার ও দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলছে। এ সময় আদালত অর্থপাচার রোধে বা পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হাইকোর্ট বলেন, ‘বিদেশে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে। এতো কিছু হচ্ছে তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) কিছু করছে না কেন? তারা শুধু ওখানে (অফিসে) এসে বসে থাকবেন, কিছু করবেন না তা তো হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থপাচারের দায় এড়াতে পারে না।’
এ সময় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি চলছে।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সঙ্গে আছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেজাবীন রাব্বানি দিপা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। এছাড়া রয়েছেন আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারের কানাডার হোল্ডিংয়ের ঠিকানা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে কানাডা সরকার। এরপর সেদিন জানানো হয়, যেকোনো দিন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে ইন্টারপোল। সেটা দু-একদিনের মধ্যেই হতে পারে। চাইলে আজও রেড এলার্ট জারি করতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০