রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের কামার ধাদাশ গ্রামের এক অসহায় বৃদ্ধা নারী সাফিয়া বেগম (৬৫)। কঠিন জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ তিনি। কিছু জুটলে খান নতুবা না খেয়েই দিন পার করেন এই বৃদ্ধা। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে যা জোটে তা খেয়েই দিন চলে তার।
স্থানীয়দের মতে, দেখার কেউ নেই এই বৃদ্ধাকে। মানুষ যে এতটা কষ্টে জীবনযাপন করতে পারে, তাকে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এ যুদ্ধের অংশীদার হতে কেউ-ই তার পাশে নেই, এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
বৃদ্ধা সাফিয়া বেগমের স্বামী আব্দুল মজিদ সরকার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন ২৫ বছর আগে। বেঁচে থাকতে কৃষিকাজ করে কোনোভাবে দিন পার করতেন তিনি। ছোট্ট একটি ভাঙ্গা টিনের ঘরে নিঃসঙ্গ দিন কাটছে সাফিয়ার। সামান্য বাড়ির ভিটাও নেই তার। সাফিয়ার নামে অদ্যাবধি সরকারি কোনো সহায়তা জুটেনি। অসহায় বৃদ্ধা ও বিধবা সাফিয়ার দুর্বিষহ কষ্টের জীবন কাহিনী কামার ধাদাশ গ্রামের কারো অজানা নয়, তবুও তার পাশে নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সাফিয়া বেগম বলেন, মেম্বার সবাইকে কার্ড করে দিয়েছে কিন্তু আমাকে কার্ড দেয়নি। একটা কম্বলও দেয়নি কেউ। আমার স্বামী মারা যাওয়া ২৫ বছর হলো কিন্তু আজও আমাকে কেউ কিছু দিল না। সরকারি সহায়তা পাওয়ার আবদার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদির সাথে কথা হলে তিনি জানতে চান সাফিয় তার বয়স কত? বয়স জানালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বলেন। বয়স্ক অথবা বিধবা যে কোনো একটি কার্ড করে দেবেন বলে আস্বস্ত করেন তিনি।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন, এটা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০