শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়া জেলার অন্যতম একটি উপজেলা হলো শেরপুর। এই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বহমান বাঙালি নদী। প্রত্যেক বছর এই নদী পাড়ের মানুষগুলো মোকাবেলা করে ছোট-বড় বন্যার। তাই বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও কারিগররা।
বাঙালি নদী পাড়ের মানুষ ব্যক্তি উদ্যোগে ছোট-বড় নৌকা বানাতে রাত দিন সময় পাড় করছে। বন্যার আগাম প্রস্তুতিতে নৌকা বানানো দৃশ্য দেখেই বোঝা যায় বর্ষা মৌসুমে বন্যা খুব কাছাকাছি।উপজেলার খানপুর, সুঘাট, খামারকান্দি, সীমাবাড়ি ও মির্জাপুরের নদীপাড়ের এবং নিম্ন অঞ্চলের মানুষগুলো বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এসময় দেখা যায়, তৈরি করা নৌকা জমা পানিতে ডুবিয়ে রেখে, সেই নৌকা তুলে তারা নতুন করে মেরামতের কাজ করছে। কেউ কেউ নতুন করে নৌকা তৈরি করছেন। দেখে মনে হচ্ছে এখানকার মানুষের মধ্যে নৌকা তৈরির উৎসব চলছে। বন্যার সময় নদীর তীরবর্তী ও নিম্ন অঞ্চলের মানুষের একমাত্র প্রধান বাহন হলো নৌকা।
উপজেলার খামারকান্দি, বোয়ালমারি, শালফা, শুবলী, শৈল্যাপাড়া, বোয়ালকান্দি, নলবাড়িয়া, ভাতারিয়া, গজারিয়াসহ কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ জানান, নতুন করে নৌকা তৈরি করছি, তবে এবার কারিগরের মজুরী বেশি থাকায় আমরা নিজেরাও তাদের সাথে সহযোগিতা করে দ্রত নৌকা তৈরির কাজ করছি।
নৌকা তৈরির মিস্ত্রীরা আব্দুল হান্নান জানান, সব কিছু যোগান থাকলে ছোট ডিঙি নৌকা তৈরি করতে ৯ দিন সময় লাগে। আর বড় নৌকা বানাতে বেশ কিছু সময় চলে যায় তখন লোকজনও বেশি লাগে। তবে এই সময়টা কাজের চাপ বেশি থাকায় ব্যস্ত সময় পাড় করতে হয় আমাদের। শেষ পেরেক লাগানো পর্যন্ত আমরা অন্য কোন কাজে হাত দিতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ জানান, উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে বন্যা পর্যবেক্ষণ এবং বন্যায় দুর্ঘটনা মোকাবিলায় অসহায় মানুষের ত্রাণকার্য সম্পন্নসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে নৌকার ব্যবহার অনিবার্য। তাই দ্রæত কারিগরদের নৌকা তৈরীর কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
খবর২৪ঘন্টা /এএইচআর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০