খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৭২ সালের জানুয়ারির ১০ তারিখে পাকিস্তানি বন্দিদশা থেকে নিজভূমিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপরেখা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের কান্ডারী এ ভাষণের মধ্য দিয়ে প্রত্যাবর্তন করলেন প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে।
হাজারো মানুষের ক্লান্তিহীন দীর্ঘ অপেক্ষা। কণ্ঠে জয়বাংলা ধ্বনি, আর হৃদয়ে ভালোবাসা। অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন স্বপ্নের সোনার বাংলায়। আবেগঘন মুহূর্ত পেরিয়ে হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাস ও ফুলেল অভিবাদনে সারা দিয়ে সাতই মার্চের মতো আবারো তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়ালেন জনতার সামনে।
বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বসংলগ্ন। তাইতো প্রথমেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বললেন, আমার জীবনের সাধ পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।
সাত মার্চ বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন অচলায়তন ভাঙার নির্দেশ আর ১০ জানুয়ারির ভাষণে রাষ্ট্র ও জাতি গঠনের প্রত্যয়। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু ১৫টি বিষয়ের ওপর ধারণা দেন।
১০ জানুয়ারির ভাষণ ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্তদৃষ্টি ও দূরদৃষ্টির বহির্প্রকাশ।
তিনি বলেছিলেন, এশের স্বাধীনতা কখনও পূর্ণ হবে না। যদি এদেশের মানুষ যদি পেট ভরে ভাত না খেতে পারেন। তার মধ্য দিয়ে তিনি কেমন দেশ চেয়েছিলেন তা অঙ্কন করে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানিদের প্রতি বার্তা দিতেও ভুলেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি বললেন, আপনাদের মঙ্গলকামনা করি, আমরা স্বাধীন এটা মেনে নিন।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০