বগুড়া প্রতিনিধি: একটা সময় ছিলো কুমাররা মাটি দিয়ে তৈরি সামগ্রী নিয়ে দলে দলে ছুটে চলত গ্রাম ও পাড়া মহল্লায়। মাটির তৈরী সামগ্রীর বিনিময়ে তারা ধান সংগ্রহ করতো। আবার ধান না থাকলে নগদ টাকায় কেনাবেচা করতো। এভাবেই তাদের সংসার চলতো। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। তেমন বেচাকেনা নেই। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে বগুড়ার ধুনট উপজেলার কুমার পরিবারগুলোর আধুনিক মেশিন ও সরঞ্জাম কিনতে পারছে না। এখন তাদের অনেকেরই শোচনীয় অবস্থা। তাই এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই এখন বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন। কুমারপাড়ার চাকা আজ আর তেমন ঘোরে না। মাটির হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল, সরা, বাসন, কলসি, বদনার কদর প্রায় শূন্যের কোটায়।
বগুড়ার ধুনট সদর ইউনিয়নের বিলকাজুলী গ্রামের মৃৎশিল্পী (কুমার) শ্রী মাখন পাল জানান, এক সময় নিজেদের এলাকার জমি থেকে মাটি এনে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন অনেক দূর থেকে বাড়তি দামে মাটি কিনে এনে বানাতে হয়। তাছাড়া মাটির দামও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। প্রতি ভটভটি মাটির দাম ১ হাজার টাকা ও মাটি মাড়াইয়ের জন্য ৪০০ টাকা দিতে হয়। এসব খরচ করে বাজারে শিল্প বিক্রি করতে গেলে ক্রেতারা দাম দিতে চায় না। যে দামে ক্রেতারা কিনতে চায় সে দামে বিক্রি করা যায় না। লোকসান গুণতে হয়।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, এই মৃৎশিল্পীদের মাটির তৈরি বিভিন্ন শো-পিস, হাড়ি, পাতিল, কলসী, টাইলস সহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন সামগ্রী তৈরি করে রফতানি করা গেলে এই পেশায় জড়িত শিল্পীরা মানবেতর জীবন থেকে সচ্ছলতায় ফিরে আসতে পারবে। তাই এ পেশার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা যদি মৃৎ শিল্পের উন্নয়নের জন্য কোন সহায়তা চায় তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০