খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে ছয়টি আসনে জয়ী হয় তার মধ্যে বগুড়া-৬ আসনটি অন্যতম। এ আসন থেকে গত কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভোট করে জয়ী হয়ে আসছিলেন। একাদশ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট করতে না পারায় দলের টিকিট দেয়া হয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।বগুড়াবাসী শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ওই আসনে মির্জা ফখরুলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।বিএনপির ৫ সংসদ সদস্য শপথ না নিলেও শপথ নেননি মির্জা ফখরুল। তিনি শপথ না নেয়ার যুক্তি হিসেবে রাজনৈতিক কৌশলের কথা বলেছেন। যদিও সেই কৌশল আজও পরিষ্কার করেননি তিনি।
বগুড়ার এই উপনির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি বেশ কিছু বিকল্প ভাবছে। দলের জন্য ‘প্রেস্টিজিয়াস’ এই আসনটিতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপি সিরিয়াস। এমন কাউকে দলের টিকিট দিতে চায় যিনি জয়ী হয়ে আসতে পারবেন।আবার সংসদে গিয়ে জোরালো ভূমিকাও রাখতে পারেন।
এ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নাম বিবেচনায় রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড। দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়ার পাশাপাশি সমমনা দলের নেতাদেরও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নামটি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এমন নেতাকে বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে, যিনি সংসদে শক্তভাবে কথা বলতে পারবেন। বিএনপির বাকি সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। এমন চিন্তা থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে একটি কঠিন শর্তও দেয়া হয়েছে। মান্না যদি দল (নাগরিক ঐক্য) ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন, তা হলেই তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। তার নিজ দল থেকে নির্বাচন করলে বিএনপি এতে সমর্থন দেবে না।
তবে মান্নার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দল ত্যাগ করে তার নির্বাচন করার সম্ভাবনা কম। তা ছাড়া নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তার। এ ছাড়া একাদশ সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যদের যোগ দেয়ার সমালোচকও তিনি।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না শনিবার ঢাকার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এ অবস্থায় আমি নির্বাচন করতে চাই না, করব না।
বগুড়া-৬ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসন বলেই পরিচিত। তিনি ওই আসন থেকে কয়েকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কারাবন্দি খালেদার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই আসন থেকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেন এবং বিজয়ী হন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে ফখরুল শপথ না নেয়ায় স্পিকার আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। পরে নির্বাচন কমিশন ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ হবে ২৪ জুন। তার আগে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৭ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ জুন। সে হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়ার আর সময় আছে মাত্র ৫ দিন।
আসনটিতে ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির প্রার্থিতার বিষয়ে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে আছেন। আগামীকাল সোমবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০