খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: নতুন কাঠামোতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি গড়ে ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি ও ইনক্রিমেন্ট বিবেচনায় সর্বনিন্ম ২৫ থেকে ৩৬ শতাংশ মজুরি কমেছে। নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের ন্যূনতম মজুরির ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি করছে বিজিএমইএ'র। মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি করা হয়।
টিআইবির প্রতিবেদন তুলে ধরেন টিআইবির গবেষক নাজমুল হূদা মিনা।
তিনি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামোতে মালিকপক্ষের মূল মজুরি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি করলেও প্রকৃত হিসাবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নতুন কাঠামোতে আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ মজুরি কমে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ২৬ থেকে ৩২ শতাংশও। মজুরি তো বাড়েই-নি, বরং যারা আন্দোলন করেছে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। চাকরীচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতে অনেক অগ্রগতি হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়ে গেছে। শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি পর্যাপ্ত দৃষ্টি পাচ্ছে না। নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে। বাস্তবে মজুরি কমে গেছে বলে ধারণা করা হতো। আমাদের প্রতিবেদনেও তা উঠে এসেছে।
মজুর অগ্রগতির বিষয়ে টিআইবি বলছে, ২০১৩ সালে ৭৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করে নূন্যতম ৫৩০০ টাকা এবং ২০১৮ সালে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি গ্রেডে ফের মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর অধিকাংশ কমপ্লায়েন্ট কারখানায় সরকার নির্ধারিত মজুরি দেয়া খাতটির অন্যতম অগ্রগতি। আর পোশাক খাতের উন্নয়নে ১২টি সুপারিশ জানায় টিআইবি।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০