আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ডুমসডে ক্লক—পৃথিবীর শেষ দিনের প্রতীক ধরা হয় এ ঘড়িকে। আমাদের গ্রহকে ঘিরে ঘনিয়ে ওঠা নানা বিপদের মাত্রা অনুযায়ী চলাফেরা করে এ ঘড়ির কাঁটা। এই ঘড়িতে রাত ১২টা বাজা মানেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে ‘বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস’ জানিয়েছে, ডুমসডে ক্লকের কাঁটা এ বছর অপরিবর্তিতই আছে; অর্থাত্ এখন রাত ১১টা বেজে ৫৮ মিনিট। না এগোলেও ‘১১টা ৫৮ মিনিটকে’ ধরা হয় ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতি হিসেবেই। গত বছর ৩০ সেকেন্ড এগোনোর পর এ ঘড়িতে আর সময় আগায়নি।
১৬ জন নোবেল বিজয়ীর পাশাপাশি নামকরা বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল প্রতিবছর নির্ধারণ করে, ডুমসডে ক্লকের কাঁটা ঠিক কোথায় থাকবে। ১৯৪৭ সাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। এর আগে ১৯৫৩ সালে এই ঘড়ির কাঁটা ১১টা ৫৮ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলাতে থাকায় সেই কাঁটা আবার পেছাতে পেছাতে ১৯৯১ সালে ১১টা ৪৩ মিনিটেও নেমে আসে। এরপর পরিস্থিতি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে গত বছর সেটি আবার ১১টা ৫৮ মিনিটে পৌঁছায়।
এ বছর ঘড়ির কাঁটা আগের অবস্থানে রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছে বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস। তাতে বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতি-অবনতি দুই-ই তুলে ধরেছে তারা। বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস বলছে, ঘড়ির কাঁটা আর না এগোলেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তির কিছু নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব এবং পরমাণু অস্ত্রের ঝনঝনানি এখনো হুমকির পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা স্বস্তি দিলেও ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির চুক্তি ভেস্তে যাওয়ায় নতুন করে হুমকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বসম্প্রদায় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের ওপর এখনো নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। সূত্র : এবিসি নিউজ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০