খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, নিহত জাবেদ মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মহিউদ্দীন সোহেলকে জাবেদ খুন করেছেন।
সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার জাম্বুরি মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান জানান, রাতে মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদকে গ্রেফতার করতে জাম্বুরি মাঠ এলাকায় যায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে আসামিরা।
আত্মরক্ষর্থে পুলিশও গুলি করে। এতে জাবেদ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাবেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এছাড়া আরও তিন পুলিশ আহত হয়েছে। এরা হলো- উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিটু দাশ ও কনস্টেবল আল আমিন। এদের মধ্যে ওসি সদীপ কুমার দাশকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত জাবেদ মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। মহিউদ্দীন সোহেলকে জাবেদ ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বলে আসামিদের জবানবন্দিতে জানা যায়।
গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে নিহত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন সোহেলকে ‘সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ’ হিসেবে দাবি করা হয়।
কিন্তু ৮ জানুয়ারি বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির দাবি করেন মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
একই দিন রাতে ডবলমুরিং থানায় মহিউদ্দিন সোহেল ‘নিহত হওয়ার’ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০