রাজশাহীর পুঠিয়ায় খালাসীদের ১৫ মাসের মজুরি আত্মসাত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা। এ ঘটনায় খালাসীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
খাদ্য গুদাম খালাসী সর্দার গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, গুদাম কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা নানা অযুহাতে গত পনেরো মাস থেকে আমাদের ১৪ জন খালাসীর মজুরি দিচ্ছেন না। এই ১৫ মাসে আমাদের বকেয়া পাওনা দুই লাখ ছিয়াশি হাজার টাকা। তিনি গত কয়েকদিন আগে পুরো মজুরি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন। অথচ আজ মাত্র ২০ হাজার টাকা দিতে চাচ্ছেন। আর বাকি টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।
আমরা পুরো টাকা চাইলে তিনি সুবিধা মোতাবেক দিবেন বলে জানান। যার কারণে আমরা সেই টাকা নেইনি। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
শ্রমিক আবুল কালাম জানায়, গুদামে খালাসীর কাজ করে আমাদের সংসার চলে। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন থেকে মজুরি পাচ্ছি না। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে আমরা দিন পার করছি। গত ঈদের আগে টাকা দেয়ার কথা ছিল কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা দেয়নি। সামনে কোরবানির ঈদ, কিভাবে পার করবো বুঝতে পারছি না। ৩০ জুন আমাদের টাকা দেয়ার কথা ছিল কিন্তু গোডাউন কর্মকর্তা আমাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে। পরে আর টাকা দেয়নি।
তবে গোডাউন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা টাকা আত্মসাত চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাছে যা আছে তাই লেবারদের দিতে চেয়েছি। কিন্তু তারা পুরো টাকা চাচ্ছে। যা এই মুহুর্তে আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, আগে শ্রমিকদের মজুরি ঠিকাদারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হেতো। এখন ঠিকাদার নেই। তাই পুরো লেনদেনের বিষয়টি গোডাউন কর্মকর্তা দেখভাল করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, গোডাউন শ্রমিকদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০