পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দেয়ার অভিযোগে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিচার বিভগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নিহত নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচাপতি মো: খায়রুল আলমের হাইকোর্ট ব্রেঞ্চ সোমবার দুপুরে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাকিল উদ্দিন তার বাবার হত্যা মামলা এজাহার পাল্টে দিয়েছে। বিষয়টি তিনি রাজশাহী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছড়াও মামলাটি বাতিলের জন্য রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেড ও আমলি আদালত-২ এ মামলাটি বাতিলে আবেদন করেন। গত ২৪
এপ্রিল উপজেলার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে নুরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনে নুরুলকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুঠিয়া থানার ওসি পরাজিত করান। এ ফলাফলের বিরুদ্ধে নিহত নুরুল ইসলামসহ পরাজিত তিন প্রার্থী আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত শ্রমিক ইউনিয়নের সব কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। পরে এ আদালতের জারিকারক পুঠিয়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেসময় নিহত নুরুল ইসলাম জারিকারকের সাথে গিয়েছে ছিলেন। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঔই রাতেই নুরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন ইটভাটায় নুরুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। সেসময় নিহত নুরুল ইসলামে মেয়ে নিগার সুলতানা ৫জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দেন। সেই এজাহার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ পরে পাল্টে দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ মামলায় এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য করা হয়েছে বলে নিগার সুলতানা অভিযোগ করেন। বর্তমানে সেই মামলাটি জেলা ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করছে।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০