রাজশাহীর পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়নে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মহিলা মেম্বার লালভানু ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গুচ্ছগ্রামের ঘর দেবার নাম করে একজন ভিক্ষুকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেবার নাম করে আরো ৫ হাজার টাকা মহিলা মেম্বার লাল ভানু ও তার স্বামী হাসিব ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করার অভিযোগ তুলেছে এক ভিক্ষুকের স্ত্রী সুরজান বেগম।
ওই ভিক্ষুকের স্ত্রী সুরজান বেগম জানায়, তিন সন্তান সহ পাঁচ জনের সংসার। কোন জায়গা জমি নেই আমাদের । ভিক্ষা করে সংসার চলে। খুব কষ্টে দিন পার করছি। বর্ষা বাytদলে আমাদের খুব কষ্ট হয়। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি ঘর পাবার আশায় মহিলা মেম্বার লাল ভানুর দ্বারস্থ হই। পরে মহিলা মেম্বার লাল ভানু ও তার স্বামী হাসির আমাদের একটি ঘর দেবার জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করে তা আমরা খুব কষ্ট করে সংগ্রহ করে লাল ভানু ও তার স্বামী হাসিবের হাতে তুলে দেই। পরে সরকারি বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেবার জন্য আমাদের কাছ থেকে আরও পাঁচ হাজার টাকা তারা দু'জনে নিয়ে যায়। মোট ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে দু'বছর ধরে মেম্বারের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। একদিন মেম্বারের বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে আমাকে অপমান করে। সেখানে টাকার চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মেম্বারের স্বামী ডাক্তার দেখিয়ে গাড়িতে করে আমাকে বাড়িতে পাঠায়। কোন সরকারি অনুদান এবং সরকারি ঘর আমাদেরকে দেয়নি। আমি টাকাগুলো খুব দ্রুত ফেরত চাই।
প্রতিবশী আলহাজ্ব দিদার মন্ডল জানায়, সুরজান বেগমের স্বামী সওদাগর ভিক্ষা করে সংসার চালায়। তাদের কোন থাকার জায়গা নেই। নদীর ধারে রাস্তার পাশে টিন দিয়ে একটি ঘর করে থাকে। শুনেছি সুরজান বেগম মহিলা মেম্বার ও তার স্বামীকে এতগুলো টাকা দিয়েছে। তারা খুবই গরীব মানুষ। তারা সরকারি কোন ধরনের অনুদান পায় না। আমরা প্রতিবেশীরা তাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহায়তা করে আসছি। ভিক্ষুক সওদাগরের বাসায় পানি খাওয়ার টিউবওয়েল ছিল না আমরা গ্রামবাসীরা টাকা তুলে তাদেরকে একটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মেম্বার লালভানু বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনি। আমি সরকারি গুচ্ছগ্রামের ঘর দেবার কেউ নই।
এ বিষয়ে ৬ নং জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসা: হোসনেয়ারা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবার নতুন করে টাকা নিয়েছে এই বিষয়টি আমি জানিনা। তবে এর আগের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। বর্তমানে ওই মামলায় লালভানু জামিনে রয়েছে। এরচেয়ে আর বেশি কিছু জানিনা।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০