পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. মফিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নয়াটোলা আমবাগ এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ ফরিদ।
এর আগে রোববার রাত ১টার দিকে গাছা থানার বোর্ডবাজারের পূর্ব কলমেশ্বর এলাকায় স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০) ও ছেলে রোকনকে (১৬) গলা কেটে হত্যা করে মফিজ।
সোমবার দুপুরে নিহত রহিমা বেগমের বড় ভাই রাসেদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মো. মফিজের (৫৫) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার রামভদপুর গ্রামে।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ ফরিদ জানান, রোববার রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে রিকশাচালক মফিজ। ছদ্মবেশ ধারণ করতে নিজের গোঁফ ও দাড়ি ছেটে ফেলেন। ঘটনার পর থেকে গাছা থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রিকশার গ্যারেজে নজরদারি করে। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তেজগাঁও নয়াটোলা এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গাছা) আহসানুল হক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে মফিজের প্রায়ই কলহ হতো। রোববার রাতে মফিজ একটি নতুন বটি কিনে আনেন। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাইরে থেকে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সিটকিনি আটকে দেন তিনি। পরে রহিমা ও রোকনকে ওই বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যান। পালানোর সময় তার আট বছর বয়সী ছেলে আল-আমিন হত্যার ঘটনাটি দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়।
বিএ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০