পাবনা ব্যুরো: পাবনাসহ উত্তর জনপদে গত তিনদিন ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। প্রচন্ড শীত আর হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার মধ্যে মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। পাশাপাশি সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে ট্রেন চলাচল। পাবনার ঈশ্বরদীতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরে মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। তবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষগুলো দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ। অনেকে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভোরে সড়কে মানুষের আনাগোনা খুব একটা চোখে পড়ছে না। মাঠে দেখা মিলছেনা শ্রমিকদের।
শহর কিংবা হাটবাজারের দোকানপাটগুলো খুলছে বেলা গড়ানোর পর। প্রচন্ড বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি শিশুসহ বৃদ্ধ রোগীরা। এছাড়া তীব্র শীতে কাহিল গবাদিপশুগুলো।
এদিকে দরিদ্র ও মধ্যবৃত্তরা কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পুরানো শীতবস্ত্র কিনতে হকার্স মার্কেটে ভীড় করছেন। নিজেদের চাহিদা মত দরদাম করে কিনছেন জ্যাকেট, সোয়টার, মাফলার, টুপি, হাত মোজা ও কম্বল।
এদিকে, রবিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন ৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা পাবনায় এখন পর্যন্ত । এ সর্বনিম্ন তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের টিপিও আব্দুল খালেক সরকার বলেন, এ অবস্থা আরও বেশ কয়েকদিন থাকতে পারে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০