পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে মামলাটি দায়ের করেন সংঘর্ষে নিহত মহসীন খান লস্কর’র ছেলে সুলতান মাহমুদ খান। মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে প্রধান আসামীসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক বলেন, ৫১ জনকে আসামী করে মামলার এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মামলার বাদি সুলতান মাহমুদ খানের অভিযোগ, হামলাকারীরা তার বাবা ও প্রতিবেশীকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করার পর তাদের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত গত সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও জাসদ থেকে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী সুলতান মাহমুদ খানের সমর্থিত দু’গ্রæপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সুলতানের বাবা মহসীন খান লস্কর (৬৮) ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেক শেখ (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
থানায় দায়ের করা মামলায় এই জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান, আব্দুল কাদের মাষ্টারসহ ৫১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০