গরমে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। প্রায় প্রতি দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে বইছে তাপপ্রবাহ। রাতের বেলাও মিলছে না স্বস্তি। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর প্রার্থনা একটাই, ‘বৃষ্টি’। কিন্তু আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত পরিস্থিতি পরিবর্তনের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও তাপপ্রবাহ দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তারা বলছে, রোববারও (২৮ এপ্রিল) কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এর আগে, শনিবার শহরটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
তবে শনিবার সবচেয়ে বেশি গরম ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায়। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, এদিন ওই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র খরতাপে পুড়ছে বর্ধমান, মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াসহ উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাও। কয়েকদিন ধরে এই জেলাগুলোর কোথাও ৪১ আবার কোথাও ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে, যা স্বাভাবিকের চেয়েও ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
২০১৪ সালে কলকাতাসহ রাজ্যটির কয়েকটি জেলায় ৪১ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল। তবে সেটা স্থায়ী ছিল না। কিন্তু এবার তাপপ্রবাহ দীর্ঘ সময় ধরে চলছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে আরও এক-দুই ডিগ্রি বাড়তে পারে। দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
দক্ষিণের বাকি জেলাগুলোতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আর আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে রোববার দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এসব অঞ্চল দিয়ে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। চিকিৎসকেরা প্রচুর পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা রাস্তায় বের হতেও নিষেধ করেছেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০