নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবারের নিরাপত্তা ও আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবিতে রাজশাহী মহানগরীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মীর শহীদ নামের একব্যক্তি। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকমোহন গ্রামের গোলাম মোস্তফা মন্ডলের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি তিনি অভিযোগ করে জানান, তার পুকুরের নাইট গার্ড রাজুর মাধ্যমে ওই গ্রামের নজরুলের ছেলে সুমন (২৮) মাছ ও মাছের খাদ্য চুরি করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। সেখানে মাছ চুরির বিষয়টি স্বীকার করে নাইটগার্ড রাজু। এর মাত্র ১ মাসের মাথায় ২৯ জুলাই সুমনের নের্তৃত্বে আবার তার পুকুরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে।
এতে প্রায় তার ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। সেই মামলা এখনো আদালতে চলমান রয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে সুমন সুযোগ পেলেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চলতি মাসের ৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তিনি মুদির দোকান থেকে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে সুমন উজ্ব¦ল ও মেহেদিসহ আরো ১০/১৫ জন পেছন থেকে এসে তাকে মারধর শুরু করে। তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তারা চলে যায়। এ ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমনসহ ১০/১৫ জন মিলে তার বাড়িতে গিয়ে বাড়ির গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আবারো মারধর শুরু করে। তিনি ও তার বড় ভাই এবং বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা রক্ষা পায়। কিন্ত তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার জুথি ও তার মাকে তারা মারধর করে। তাদের মারধরে তার স্ত্রী ও
মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। কিন্ত ততক্ষণে তারা মারধর করে তাদের খোঁজার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। যাওয়ার আগে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পালিয়ে বাইরে যাওয়ার পর ৯৯৯ এ কল দিই সহায়তার জন্য। সেখান থেকে তাকে জয়পুরহাট সদর থানার একটি নম্বর দেই। তিনি সেই নম্বরে কথা বলেন। এরপর জয়পুরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাবে বলে জানায়। কিন্ত ১ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে না আসার কারণে ওইদিন রাত ১২ টার দিকে তিনি জয়পুরহাট সদর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ দেয়ার পর ৪ দিনের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। বার বার তিনি সাহায্যের জন্য থানায় কল দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি।
পুলিশ ৪ দিনেও ঘটনাস্থলে না আসায় সুমন ও তার লোকজন প্রতিবেশীদের বলে যে, থানা কি করবে?
আমাদের কেউ কিছু করতে পারবেনা। আমাদের পেছনে বড় শক্তি রয়েছে। তিনি সেদিন থেকে বাড়িতে যেতে পারেননি। বাড়ির অন্য সদস্যরা ভয়ে ভয়ে দিনযাপন করছে। যেকোন মুহূর্তে তার পরিবার হামলার শিকার হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা করছেন। আর অজ্ঞাত কারণে থানার পক্ষ থেকেও কোন ধরণের আইনি সহায়তা পাচ্ছেননা। এজন্য তিনি দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে বিবাদী সুমনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহরিয়ার খান ওসি বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনি সেবা সবাই পাবেন।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০