পত্নীতলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। সম্প্রতি সময়ে ভোজ্য তেলের মূল্য ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। সরিষা চাষে সেচ ও সার কম লাগে, ফলে কম খরচ বেশি লাভ হয়। এছাড়াও ফুল ও পাতা ঝড়ে জৈব সার তৈরি করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। তাই পত্নীতলার অনেক কৃষক'ই সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, জমিতে দু-একটি চাষ দিয়েই সরিষা বীজ বপণ করা যায়। সরিষা আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগে। তাই কম খরচে সরিষা উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে মাঠগুলোতে সরিষার ফুল থেকে বীজ এসেছে। সরিষা কেটে কৃষকেরা বোরোধান চাষ করবেন। চলতি মৌসুমে কৃষি অধিদপ্তর থেকে উপজেলায় ৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর জানায়। উপজেলার পত্নীতলা, পাটিচরা, ঘোষনগর, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ বেশকিছু এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে এবারে সরিষার চাষাবাদ ভালো করেছেন চাষিরা। কৃষকের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার।
উপজেলার পাটিচরা ইউপির নুনাপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জমিতে সরিষা লাগিয়ে ব্যাপক সাফল্যের আশা করছেন। তারা জানান, গত বছর থেকে নিজ উদ্যোগে আবাদযোগ্য জমিতে সরিষা চাষ করে প্রতি মৌসুমে অন্যান্য ফসল আবাদের তুলনায় অতিরিক্ত লাভ করে আসছেন। উপজেলার পাটিচরা ইউপির গাহন গ্রামের সাইদুল ইসলাম তিন একর এবং আজাদুল ১ একর এবং পত্নীতলা ইউপির বাজিতপুর গ্রামরে মোস্তফা আলী ১ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে সরিষার ফলন বেশি হওয়ায় এবং বর্তমানে সরিষার বাজার মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এবারে বেশি লাভের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য উপযোগী। সরিষা চাষ করলে খাবার তেলের চাহিদা পূরণসহ পাতা ও ফুল পড়ে জৈব সার তৈরি করে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গতবারের তুলনায় উপজেলায় প্রায় আড়াই'শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। মূলত ভোজ্য তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে কৃষকরা এই বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা বহুদিন ধরে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ভালো ফলনের লক্ষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা প্রদান, নতুন নতুন উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবনে ফলন বৃদ্ধি, পতিত জমিতে সরিষা চাষ এবং বাজারে সরিষার ভালো মূল্য পাওয়ায় এ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশা করছি, প্রত্যাশার চেয়ে লাভবান হবেন কৃষকরা।
বিএ...
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০