নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের অতীত ইতিহাসে বজায় রাখল পাকিস্তান। চারবারই জিতলো পাকরা। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার রিজওয়ান। ৪৩ বলের পাঁচ চারে এ সংগ্রহ করেন পাক এই ওপেনার। এ ছাড়া ৪২ বলে সাত চারে ৫৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
কিউইদের হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন টেন্ট বোল্ড। এ ছাড়া মিচেল মিচেল সান্টনার এক উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। মাত্র ৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার কনওয়ে কিছুটা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তবে পাওয়ার প্লের শেষ বলে দলীয় ৩৮ রানে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। শাদাব খানের সরাসরি থ্রোয়ে সাজঘরে ফিরে আসার আগে ২০ বলে ২১ রান করেন এই ব্যাটার।
মোহাম্মদ নওয়াজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ৮ বলে মাত্র ৬ রান করে ফিরেন গ্লেন ফিলিপস। ফলে দলীয় পঞ্চাশ রানের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ সারেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ড্যারেল মিচেলে। তাদের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটিতে দলীয় একশ ছাড়ায় কিউইরা।
দলীয় ১১৭ রানে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বোল্ড হয়ে বিদায়ের আগে ৪২ বলে ৪৬ রান করেন এই ব্যাটার। তবে মিচেল শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে দেড়শ রানের কোটায় নিয়ে যান। তার ৩৫ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৩ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আরেক প্রান্তে জিমি নিসাম ১২ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ একটি উইকেট নিয়েছেন।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০