নিউজ ডেস্ক: দেশে কোনো রাজনীতি নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এখন যে সরকার সেটা হলো স্বৈরতান্ত্রিক সরকার। এই স্বৈরতন্ত্রের পরই আসবে গণতন্ত্র। মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া নিঃসন্দেহে বের হবেন, কারণ গণতন্ত্র জেলখানায় থাকতে পারে না।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বনাম ভোটের অধিকার শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, দেশে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী কোনো না কোনোভাবে সরকারের অনুগ্রহ নেয়ার চেষ্টা করছে। আর যারা সত্যটা জানেন তারা ভয়ভীতিতে নিশ্চুপ হয়ে গেছেন। শুধু রাজনীতিবিদদের দোষ দিলে তো হবে না। আন্দোলন করবেন, স্লোগান দিবেন, পিটাপিটি করবেন এই জন্য আপনি জেলে যাবেন শুধু তা নয়। শুধুমাত্র কথা বলার জন্যও আপনি জেলে যেতে পারেন। আপনার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। সেই মামলা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা। এমন একটি অবস্থায় আপনারা বসবাস করছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই জায়গা থেকে আপনি ভাবেন বিএনপির মতো সংগঠন, ২০ দল, ঐক্যফ্রন্ট কী করতে পারে। আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, এরপর কী? তাহলে আমি বলবো, এরপর বিএনপি সরকার, এরপর বেগম জিয়ার সরকার, এরপর তারেক রহমানের সরকার। কারণ, স্বৈরতন্ত্রের পরে আসে গণতন্ত্র।
দলীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে দুদু বলেন, বিএনপি কী করবে আপনারা যদি এখানে বসেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, তাহলে নির্বাহী কমিটি থাকার দরকার কী? স্থায়ী কমিটি থাকার দরকার কী, তারেক রহমানের থাকার দরকার কী? এ রকম যদি আলোচনা হয়, তাহলে আমাদেরকে ডাকবেন না। এমনিতেই আমি সভা কমিয়ে দিয়েছি। একটু পড়াশোনা নিয়ে আছি। জানা-বোঝার চেষ্টা করছি ত্রুটিটা কোথায়।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ভোটের অভিজ্ঞতা নিয়ে কেউ কিছুই বললেন না। একমাত্র বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাহেব বলেছেন। আপনরা কেউ বললেন না নির্বাচনের দিন আপনার পায়ে বাড়ি লেগেছে। কেউই বললেন না যে আপনার নাকে একটা ঘুষি লেগেছে। কেউই বললেন না, আপনার হাত থেকে কেউ কাগজ নিয়ে গেছে। আপনি যেহেতু কেন্দ্রেই জাননি তাহলে বিএনপির সমালোচনা করবেন কীভাবে?
সিটি নির্বাচনে বিএনপির যোগ্য প্রার্থী দিয়েছিল মন্তব্য করে দুদু বলেন, গতবার আমরা মির্জা আব্বাসকে প্রার্থী করেছিলাম, একটু বয়স্ক মানুষ। এবার তো তরুণদের করা হয়েছে। দুটোই তো তরুণ। তরুণ উজ্জীবিত, মিছিল হয়েছে মিটিং হয়েছে। ইশরাক ও তাবিথ প্রমাণ করেছেন তারা ভালো প্রার্থী।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষক দল ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক অ্যাড. নাসির হায়দার, কেন্দ্রীয় নেতা মীর মমিনুর রহমান সুজন, রিয়াজুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নায়ম অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারী, ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয় প্রমুখ।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০