রাজশাহীর পুঠিয়ায় নারী কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন না মন্জুর করে পৌরসভার সদ্য বরখাস্তকৃত মেয়র ও বিএনপি নেতা আল মামুন খানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ জানুয়ারী) আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত ২ এর বিচারক হাসানুজ্জামান রিপন জামিন না মন্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, সদর এলাকার একজন কলেজ ছাত্রীকে পৌরসভায় চাকুরি দেয়ার প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। পরে ওই ভুক্তভোগি ছাত্রী বাদী হয়ে মেয়রের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৬ তারিখ-০৫-০৯-২০২২ ইং। এ ঘটনার পর মেয়র পলাতক থাকেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলার একটি স্থান থেকে মেয়র মামুনকে গ্রেফতার করে। এরপর থানা চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন।
সেই সাথে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মেয়রকে গত ২২ নভেম্বর পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আল মামুনের জামিনের দেয়াদ গত ডিসেম্বরের শুরুতেই শেষ হয়। এরপর তিনি যথা সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেন আদালত। এরপর আজ আদালতে হাজির হলে তার পক্ষের আইজীবি জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন নামন্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগি ওই কলেজ ছাত্রী বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর থেকে তার সহযোগিদের দিয়ে আমার ও আমার বাবা-মার নামে ১০৭ ধারাসহ এখন পর্যন্ত ৮ টি মামলা করেছে। আরো কয়েকটি মামলা করা হবে বলে মেয়রের সহযোগিরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মেয়রের কঠোর স্বাস্তি দাবী করছি।
এদিকে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ভুক্তভোগি ওই নারীর ধর্ষনের অভিযোগে সে সময় তার স্বাস্থ্য পরিক্ষা করানো হয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরিক্ষার ওই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ওসি বলেন, হাসপাতালের প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সে মোতাবেক থানা থেকে চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালে দুর্গাপুর উপজেলার অপর একজন হাসপাতালের সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। এ ঘটায় ভুক্তভোগি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ভুক্তভোগি মেয়রকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩ তারিখ ১১-০৪-২০২১ ইং। এ ঘটনার কিছুদিন পর আ'লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০