বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে গ্রামবাসী ছুটে আসেন।
বামুনগ্রামের গ্রামপ্রধান আব্দুল ওয়াহেদ, বর্ষীয়ান কৃষক আব্দুল জব্বার ও গ্রাম পুলিশ জসিম উদ্দীন অভিযোগ করেন, সপ্তাহদুয়েক আগে ভাইদের নিয়ে শহিদুল এসে রাস্তাটির জায়গা নিজেদের বলে দাবী করে। এরপর তারা মাটি দিয়ে ভরাট করে ওই রাস্তা। ভয়ে গ্রামের কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।
পাশ্ববর্তী গোয়ালঘাট গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, রাস্তাটি দখল করায় চলাচল নিদারুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আগে রাস্তাটি দিয়ে সাইকেল, ভ্যান, ছোট ট্রাক্টার চললেও দখলের পর একটা সাইকেল পর্যন্ত চলাচলের জায়গা নেই। সরকারী দলের নেতা বলে কেউ শহিদুলদের সাথে পেরে উঠছে না।
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ সুলতান ২০ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছেন। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ধান কেটে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাবার মতো অবস্থা রাখেনি শহিদুলরা। এ অবস্থায় রাস্তাটি বন্ধ থাকলে শুধু ধান কেটে বাড়ি পর্যন্ত নেয়ার বর্ধিত ভাড়াই উৎপাদন খরচের কাছাকাছি চলে যাবে।
একই অভিযোগ করেছেন আরেক কৃষক সুনীল কুমার পাল।
শুধু চলাচলের রাস্তাই নয়, রাস্তাটির পাশ্বর্তী কয়েকটি ঘরের জায়গাও নিজেদের বলে দাবী করেছে শহিদুলরা। বাপ্পী হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শহিদুলরা নিজস্ব আমিন এনে মাপজোক করে তার বাড়ির সীমানার বৈধ ১৮ ফিট জায়গা নিজেদের বলে দাবী করছেন। তারা অন্যায়ভাবে ঘর ভাঙ্গার পায়তারা করছে।
এছাড়াও আত্রাই নদী তীরবর্তী বামুনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি রাস্তার মাত্র ১০০ ফিটের কাজ শহিদুল ও তার পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতা ও অন্যায্য দাবীর কারণে বন্ধ হয়ে রয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, শহিদুলরা দলে অনুপ্রবেশকারী। সম্প্রতি বিএনপি থেকে তারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। তারা প্রকৃতপক্ষে দলের ভোট নষ্ট করার কাজেই নিয়োজিত।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শহিদুল ও তার ভাই সাইদুলকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের পক্ষে তাদের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। তিনি ভুক্তভোগিদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তারাই দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার জায়গা দখল করে বাড়িঘর তুলে বসবাস করে আসছে। তারা নিজেদের দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিলেই চলাচলের রাস্তা হয়ে যাবে। তার পরিবার নিজেদের মালিকানাধীন জায়গাতেই মাটি ফেলেছেন মাত্র।
এ ব্যাপারে ৩নং খাজুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান গ্রাম আদালতে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শহিদুল ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী আমাকে জানালে স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম
শিমুল রাস্তায় কোনরুপ প্রতিবন্ধকতা না সৃষ্টি করতে তাদের নির্দেশ দেন। তবে শহিদুলরা তাতে কর্ণপাত করেনি।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। রাস্তা দখল করে চলাচল বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০