নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের বড়াইগ্রামে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আসার পথে মুক্তিযোদ্ধা সহ আওয়ামীলীগৈর নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার ৫ দিন পার হলেও কোন মামলা নেয়নি থানা। ১৫ আগষ্ট বিকেলে উপজেলার বড়াইগ্রামের রোলভা চাঁদের মোড়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান জিন্নাহসহ কমপক্ষে ১৫ জন আ.লীগ নেতা-কর্মী। এসময় ভাংচুর করা হয় তাদের ব্যবহৃত ১০ টি মোটরসাইকেল। ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত ১৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই হামলার প্রতিবাদে, থানায় মামলা গ্রহণ ও দোষিদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন করে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হামলার শিকার চান্দাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান জিন্নাহ, জেলা পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, আবুল খায়ের, মোমিনুল হক, গোপালপুর ইউপি কমান্ডার সাইফুল ইসলাম, বীরঙ্গনা রোকেয়া বেগম প্রমূখ।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, বনপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোহিত কুমার সরকার, জয়বাংলা সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, বড়াইগ্রাম পৌর যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবর, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ১৫ আগষ্ট বড়াইগ্রাম পৌর চত্বরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সমর্থিত নেতা-কর্মীরা শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওই সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে জোনাইল ও চান্দাই ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহ আসার পথে সাইফুল ইসলাম মেম্বারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা করে।
এ হামলার নেপথ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে এমপি’র সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সাইফুল ইসলাম মেম্বার সহ অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। পাশাপাশি এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণেরও জোর দাবি জানানো হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাসের কাছে মামলা গ্রহণ বা আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য নাই। কিছু বলতেও চাই না।
অপরদিকে এমপি আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি এ হামলার বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। নিজেরা নিজেরা গন্ডগোল করে এখন তার দায় অন্য কারো উপর চাপানো তাদের ঠিক হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
/জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০