নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নে চার মাস আগে দুটি মহিষ চুরির সন্দেহে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর(৫৩) কে অপহরণ ও মারপিট করা হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় মামলার সূত্র ধরে পুলিশ সাত আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ গ্রামের খলিল প্রামানিকের ছেলে আনছার আলী, আনছারের ভাই মোজাহার আলী, আনছারের ছেলে জাহিদ হোসেন ও রফিক, ছলিমুদ্দিন শেখের ছেলে আলেক শেখ, শহিদুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন এবং মোজাফফর হোসেনের ছেলে এমদাদুল হক।
ভুক্তভোগী আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম জানান, প্রায় চার মাস আগে(রমজান মাসে) আনছার আলীর দুটি মহিষ চুরি হয়। ওই মহিষ চুরি করেছে সাবেক মেম্বর আবুল হোসেন-বলে সন্দেহ হয় আনছারদের।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আবুল হোসেন ধানাইদহ বাজারে গেলে সেখানে প্রকাশ্যে তার ওপর আক্রমন চালায় আসামীরা। এক পর্যায়ে তাকে মারপিট ও জখম করে নিজ বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন চালাতে থাকে।
খবর পেয়ে আরিফুল ইসলাম থানায় খবর দেয়ার পাশাপাশি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগীতা চায়। পরে বড়াইগ্রাম থানার একদল পুলিশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনকে উদ্ধার শেষে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে।
আহত আবুলকে পুলিশ বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। তিনি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিফার ডাক্তার ডলি রাণী জানান, আবুল হোসেনের দেহে অনেক মারপিট ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে দাবী করেন ডাক্তার ডলি।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার জানান, শনিবার সকালে ভুক্তভোগী আবুল ৯জনের নামসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর দুপুরে আসামীদের কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
/জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০