নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার সোনাপুর বটতলা লিচুর জমজমাট হাট বসছে। ফরমালিন মুক্ত বাজার হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা ও বাড়ছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক লিচু যাচ্ছে দেশের প্রায় ২০ টি জেলায়।
প্রতিদিন দুপুর হতেই বটতলা প্রাঙ্গণ ভড়ে যায় লিচুর স্বাদ ও গন্ধে। এবার উপজেলায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে ভালো দাম পেলেও পরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারে দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন লিচু চাষী ও লিচু বাগান ক্রেতারা।
তবে রসালো ও সুস্বাদু এই লিচু আকৃষ্ট করেছে ভোক্তাদের। ফলে প্রকৃতির রসগোল্লা খ্যাত মৌসুমী ফলটি এখন সিংড়া ও গুরুদাসপুরে ব্যাপক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। লিচু পাড়া, সংগ্রহ, বাছাই, কেনা-বেচা আর বহনের কাজে মৌসুমী কর্ম-সংস্থানের সুযোগ হয়েছে শত শত মানুষের। লাভ জনক হওয়ায় এই এলাকায় অন্যান্য আবাদের চেয়ে লিচু চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
সোনাপুরের লিচু আড়তদার আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমানে লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে। দাম কম হওয়ায় খুশি নন তারা। গতবার লিচুর দাম ২ হাজার টাকা ছিলো। কিন্তু এবারের দামে অসন্তেষ্ট তারা। লিচু চাষী হানিফ আলীসহ অন্যান্য ১৫ জন চাষি জানালেন, মৌসুমের শুরুতে শিলা বৃষ্টি আর ঝড়ের কারনে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও পরে অনুকূল আবহাওয়া পাওয়ার কারনে লিচু আকারে বড় হয়েছে । কিন্তু গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়া ও কাল বৈশাখীর ঝড়ে বাগানের বহু লিচু রোদে নষ্ট ও ঝড়ে পরে গেছে। তার পরেও শুরুতে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে বাজার ভালো না।
ঢাকার ক্রেতা বাদশা জানান, সোনাপুরের লিচু ভালো, এজন্য তিনি ঢাকা থেকে এখানে এসেছেন কিন্তু গত কয়েকদিন আগে ঢাকার কয়েকটি স্থানে সার্জনদের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাস্থায় তাদের চাঁদা দিতে হয় আবার কথা বললে গাড়ি থানায় নিয়ে যাবার হুমকি দেয়। গত সপ্তাহে চালকের সাথে কথা-কাটাকাটি হলে থানায় ট্রাক আটক করে নেয়ায় ৮৬ হাজার টাকার লিচু বিনষ্ট হয় বলে জানান তিনি। লিচু ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, তিনি
৭ বছর থেকে আরৎ চালান, প্রতিবছর ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে, দুর দুরান্ত থেকে এসে লিচু কিনছে সাধারন মানুষ। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লিচু আমদানী হয়। এবার দাম কম সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা। সোনাপুরে ৫ টি বড় আরৎ রয়েছে এর মধ্য বিসমিল্লাহ্্ ফল ভান্ডার, প্রোপাইটর আব্দুল মান্নান। মায়ের দোয়া ফল ভান্ডার মালিক
কামরুল হাসান, বন্ধু ফল ভান্ডার প্রোপাইটর সায়েম উদ্দিন। সততা ফল ভান্ডার প্রোপাইটর আব্দুল করিম, আল্লাহ্র দান ফল ভান্ডার প্রোপাইটার আব্দুল জলিল মোল্লা।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। চামারী ইউনিয়নে লিচুর ফলন সবচেয়ে বেশি, দাম অনেকটা স্বাভাবিক। কারন এটা লাভজনক ব্যবসা। সোনাপুর লিচুর আরৎ বিখ্যাত , সেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক লিচু আমদানি হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০