নাটোরের বাগাতিপাড়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের ধান দেওয়ার অভিযোগে ৪ কর্মচারীর বদলী - খবর ২৪ ঘণ্টা
প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:৩৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২৪, ২০২০, ৫:৪৪ পি.এম
নাটোরের বাগাতিপাড়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের ধান দেওয়ার অভিযোগে ৪ কর্মচারীর বদলী
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে কৃষকদের বদলে নিম্নমানের ধান দিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। এমন অনিয়মের সত্যতা পেয়ে গত মঙ্গলবার গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে চাবি বুঝে নেন ইউএনও। তার এক দিন পর বৃহস্প্রতিবার চার কর্মচারীকে অন্যত্র বদিলি করলেও অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো অধরা।
জানা যায়, সরকারী নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা যেন ভালো মুনাফায় গুদামে ধান দিতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকৃত কৃষকদের সাক্ষাৎকার গ্রহনের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করেন।
প্রতিকেজি আমন ধান ২৬ টাকা মূল্যে বাগাতিপাড়া উপজেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫০৪ মেট্রিকটন। সেই ধান কৃষকরা গোডাউনে দিতে আসলে ধানের আদ্রতা পরিক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকদের । কিন্তু প্রভাবশালী মহলের আর্শীবাদপুষ্ট ও খাদ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কৃষকদের কৃষি কার্ড কিনে ব্যাবসায়ীদের ট্রলি বোঝায় নি¤œমানের ধান নেয়া হচ্ছে আদ্রতা পরিক্ষা ছাড়াই। সরেজমিনে সেই ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ত উপজেলা খাদ্যগুদামে ডুকলে চোখে পড়ে।
এমন অনিয়োমরে খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল সরেজমিনে খাদ্যগুদামে গিয়ে ক্রয়কৃত ধানের আদ্রতা পরিক্ষা করালে অনিয়োমের সত্যতা মেলে। এছাড়া ওই দিন দুজনের নামে ১৮৫ বস্তা ধান ক্রয় দেখালেও প্রকৃত কৃষকের কার্ড দেখাতে পারেননি উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা। এমন পরিস্থিতিতে ওই দিন গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে চাবি বুঝে নেন ইউএনও । এর একদিন পর বৃহস্প্রতিবার ৩ জন প্রহরী ও একজন সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক কে অন্যত্র বদলি করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু
সাধারন কৃষকের দাবী খাদ্যগুদামে প্রহরীরা নয় ব্যাবসায়ীদের সাথে করে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ইন্ধোনে কৃষকদের সাথে এমন প্রতারনা করা হয়েছে। তদন্ত করে অনিয়োমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনেরও কথা জানান সাধারন কৃষক।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম কর্মচারিদের বদলির কথা নিশ্চিত করলেও হঠাৎ কেন তাদের বদলি করা হলো তা স্পষ্ট করে বলেননি। এছাড়া ইউএনও’র খাদ্যগুদাম পরিদর্শনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা বলে জানান।
উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন ইউএনও স্যারের নির্দেশে কৃষক ছাড়া কারো ধান নিচ্ছেননা তিনি। ধানের আদ্রতা আধুনিক যন্ত্রদ্বারা মাপছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নিতি মালার মধ্যেই তিনি ধান নিচ্ছেন। তবে আধুনিক যন্ত্রদ্বারা তিনি ধানের আদ্রতা পরিক্ষা করেননা তার ধারনার উপর আস্থারেখে ধানের আদ্রতা পরিক্ষা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্যগুদামে তিনি গিয়েছিলেন এবং অভিযোগের কিছু সত্যতাও তিনি পেয়েছেন। তবে সচ্ছ ভাবে যেন প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয় সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনী ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাষ দেন তিনি।
এমকে
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০