নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ার রহিমানপুরে গ্রামের রাস্তার ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম জনদূর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। রাস্তা পাশে পুকুর খনন করার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে বললেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্ত্। পুকুরসংলগ্ন রাস্তার ধারে প্রতিরক্ষামূলক ওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গা স্থানগুলো সংস্কারের দাবি এলাকাবাসির।
এলাকাবাসিরা জানান, উপজেলার রহিমানপুরে হেনার মোড় থেকে রহিমানপুর বাজারের হয়ে বজরাপুর এবং বাজার থেকে সরকারপাড়া হয়ে বাজিতপুরের গ্রামের ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী সহ হাজারো মানুষ আসা-যাওয়া করে। রাস্তাটির পাশে জালাল, আব্দুল কাদের মাস্টার, রয়েজ উদ্দিন, কাজেম উদ্দিন, নওশাদ আলী সহ বেশ কয়েক জনের পুকুর রয়েছে রাস্তা সংঙ্গে। পুকুর থাকা স্থানগুলোতে রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে চলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবী পুকুর গুলো খননের সময় বিধিঅনুযায়ী যতটুকু পাড় রাখার কথা, ততটুকু না রাখাতেই রাস্তা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, ওই পুকুরগুলো খননের অনুমতি দিয়েছেন কোন কর্তপক্ষ? স্থানীয়দের দাবী পুকুর খননের সময় কর্তপক্ষ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে অনুমতি দেয়াতেই এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যার মাসুল গুনতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছালেহা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাস্তাটির বেশ কিছু স্থান ভাঙ্গা থাকায় মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটে। রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।’
রহিমানপুর বাজারের মাওয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান রয়েল দাবী করেন, রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় পণ্য আনা-নেয়াতেও অনেক সমস্যা হয়। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাগুলো সংস্কার করা না হলে, পুকুর সংলগ্ন স্থানে রাস্তা পুকুরের পেটেই চলে যাবে।’ রহিমানপুর নদীরধার এলাকার ভ্যানচালক সোহেল রানার দাবি, ‘গরীব মানুষ আমরা পেটের দায়ে ভ্যান চালাই। কিন্তু রাস্তাটি ভাঙ্গার কারনে মাঝে মধ্যেই ভ্যানের বিভিন্ন যন্ত্র নষ্ট হয়। আবার ভ্যানে রোগী আনা-নেয়ার সময় আরো বেশী দূর্ভোগে পড়তে হয়।’ জামনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন সরকারের দাবী, ‘আমি অনেকবার ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে যথাযত কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। ইউএনও স্যার সরেজমিনে দেখেও গেছেন। ’
রাস্তার পাশের পুকুরগুলোর পাড় কেন বিধিঅনুযায়ী রাখা হয়নি এবং এগুলো দেখভালের দায় ভূমি প্রশাসনের আছে কী না? এমন প্রশ্নে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মেরিনা সুলতানা দাবি করেন, ‘বিধিমোতাবেক প্রত্যকটি পুকুরের পাড় রাখতে হবে। ওই এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে জানালে বিধিলঙ্ঘনকারী পুকুর মালিকদের নোটিশ করে সমস্যাটি সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।’
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এস.এম শরিফ খান বলেন, আমি পূর্বেও রাস্তাটি দেখেছি। আবারো সরেজমিনে দেখে রাস্তাটি সংস্কার এবং পুকুর সংলগ্ন স্থানগুলোতে স্থায়ীভাবে সমাধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি। তবে যে কারণেই রাস্তার ক্ষতি হোক কর্তপক্ষ খুব দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০