বিনোদন,ডেস্ক: যৌনচেতনা মনের গহন কোণে অবরুদ্ধ থাকে। এই চেতনা কারও বেশি বা কম হতেই পারে। আর এটা বুঝতে গেলে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে সচেতনা থাকা বলেই মনে করেন চিকিৎসক অরুণকুমার মিত্র। তিনি তাঁর ‘কন্যা, জায়া ও জননী’ গ্রন্থে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন চারটি বিষয়ের কথা—
১। মনই মানুষের সকল চেতনার ধারক ও বাহক।
২। নারীদেহে যৌবনে ডিম্বাশয় প্রসূত হরমোনের প্রভাবে নারীসুলভ পরিবর্তনের জোয়ারের সঙ্গে যৌন সচেতনতার সৃষ্টি হয়।
৩। পুরুষের যৌন উচ্ছ্বাস নারীর চাইতে সোজাসুজি ও উগ্র হয়।
৪। যৌন সচেতনতার অভাবগ্রস্ত নরনারীর শারীরিক দুর্বলতা বা অসুস্থতা ছাড়াও মানসিক দ্বিধা, দ্বন্দ, ভয় ও আশঙ্কা যৌনমিলনে অনীহার সৃষ্টি করে।
এই প্রসঙ্গেই চিকিৎসক অরুণকুমার মিত্র লিখেছেন—নরনারীর মিলন সাধারণত চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। দৈহিক মিলনের পূর্বরাগ পর্যায়ে প্রেম, আদর, উপচার, চুম্বন, আলিঙ্গন ও নরনারীর শারীরিক স্পর্শানুভূতিতে দু’পক্ষেরই সুখানুভূতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
তার পরের পর্যায়ে পূর্ণ যৌনমিলন শুরু হয় এবং দু’জনের দেহে ও মনে এক অপূর্ব আনন্দধারা বয়ে যায়।
সঙ্গমের শেষের দিকে মিলনের চরম অবস্থা প্রাপ্ত হয় ও নরনারীর দেহ-মন এক অপার্থিব সুখকর অনুভূতির জোয়ারে ভেসে যায় ও শারীরিক মিলন পূর্ণতা লাভ করে।
সম্ভোগের শেষে দুজনেরই শরীর ও মন এক অনাস্বাদিত, মনোরম পুলক ও অবসাদের মধুর আবেশে আপ্লুত হয়।
আরও এক ধাপ এগিয়ে চিকিৎসক অরুণকুমার মিত্র লিখেছেন, দম্পতি পূর্ণভাবে সখ্য, শ্রদ্ধা, ভালবাসায় আবদ্ধ হলেই এই সুখানুভূতি উপলব্ধি করা যায়। স্ত্রী-পুরুষের শারীরিক মিলন মানসিক দেওয়া-নেওয়া ছাড়া পূর্ণতা ও সন্তুষ্টি লাভ করে না।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০