মামাতো বোনের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নকল (ফ্যাক) আইডি খুলে ছড়িয়ে দিয়েছে কে বা কারা। মামার পরিবারের দাবি, হাফিজায় তাঁর মেয়ের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ফ্যাক আইডি খুলে ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ঘটনায় হাফিজার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তাঁর মামা মিঠুন প্রামানিক।
তাঁরপরও ক্ষ্যান্ত হননি তাঁরা। ফেসুবকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে হাফিজাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছে মামা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলিয়াবাদ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। মারপিটের শিকার হাফিজা এখন শরীরে জখম নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন।
হাসপাতালের শয্যায় চিকিৎসাধীন হাফিজা বলেন, মামাতো বোন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমার সর্ম্পক ভাল। আমার শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারী দুর্গাপুর থানা থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা ফোন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের কথায় জানায়। এ খবর পাওয়ার পর দিন ১৩ফেব্রুয়ারি মায়ের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার আলিবাদ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে চলে আসি। মায়ের বাড়ি আসার পর মিঠুন মামা ও তাঁর পরিবার, ফেসবুকে ফ্যাক আইডি খুলে তাদের মেয়ের ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমন অভিযোগে আমাকে দোষারোপ করতে থাকেন।
এ ঘটনা নিয়ে গত সোমবার বিকেলে মিঠুন মামা ও মামি লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় বাড়ির লোকজন আমাকে উদ্ধ্যার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি আরও বলেন, তাঁর মামা ও মামি লাঠি দিয়ে তাঁর শরীরের গোপনস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেছেন।
জানতে চাইলে আলিয়াবাদ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মিঠুন প্রামানিক বলেন, শুক্রতার জেরধরে হাফিজা নকল আইডি খুলে তাঁর মেয়ে ছবি পোস্ট দিচ্ছেন। এ ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হাফিজাকে মারধরের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, গত সোমবার বিকেলে এ নিয়ে হাফিজা আমাকে ও আমার মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিল। এ কারনে রাগের মাথায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছি।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার বলেন, ফেসবুকে নকল (ফ্যাক) আইডি খুলে হাফিজা ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ফোন দেওয়া হয়ে ছিল। বিষয়টা তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনা নিয়ে হাফিজাকে তাঁর মামা মিঠুন মারধর করেছেন বলে শুনেছি। হাফিজা থানায় তাঁর মামা মিঠুনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০