দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
দুর্গাপুরে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে কুশাডাঙা মানব উন্নয়ন সংস্থার বিরুদ্ধে। মানব উন্নয়ন তো দুরে কথা লোক দেখানো বন্ধ প্রতিষ্ঠানে অনুদান যা আসে সবাই যায় সভাপতির পকেটে। নামসবস্ব ওই প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য অভিযোগের পর এবার আবার শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্রকল্পের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মসজিদের জমি লিজ নিয়ে উপজেলার কুশাডাঙা গ্রামের মানব উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন গ্রাম্য ডাক্তার সফিকুল ইসলাম স্বপন। কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি তিনি নিজেই
হয়েছেন। আমগাছের নিচে টিনসেডের ঘর তোলে তিনি মানব উন্নয়নের নামে বিভিন্ন জায়গায় টাকা তোলেন। এবার ওই প্রতিষ্ঠানে লোকবল লাগবে মর্মে নাম শিক্ষা ও জলবায়ু প্রতিরোধ প্রকল্প বাস্তবায়নের ৩টি পদে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দিয়েছেন। এতে দরখাস্ত আহব্বানের কোন সময় উল্লেখ্য করা হয় নি। চাকরি প্রত্যাশীদের তার মোবাইল নাম্বারে তার সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে বিজ্ঞাপন দেয়ার পরপরই জেলা ও উপজেলা চাকরি প্রত্যাশীরা তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ শুরু করে। এতে চাকরি প্রার্থীদের থেকে অগ্রিম ৫০হাজার টাকা জামানত হিসেবে দিতে হবে বলে জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক বছর আগে স্বপন মসজিদের জমি লিজ নিয়ে মানব
উন্নয়ন সংস্থা নামের ঘর তোলেন। এরপর বিভিন জায়গা থেকে এই প্রষ্ঠিানের নামে অনুদান নিয়ে এসে তিনি নিজেই আতœসাত করেন। এ বছরই এই প্রতিষ্ঠানের নামে মানব উন্নয়নের নামে উপজেলা প্রশাসন হতে ৪টির পুকুর লিজ পেয়েছেন। তিনি নিজেই ওই সবপুকুর অন্য ব্যাক্তিকে লিজ দিয়ে পুরো টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন। এছাড়াও তিনি এই প্রতিষ্ঠানে আসে না। ঘরে তালাবদ্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন থেকে। তারপরও তিনি চাকরির নামে বিজ্ঞাপণ দিয়েছেন। কিছু দিন থেকেই এই এলাকায় নতুন নতুন লোক দেখাচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে চাকরির ভাইভা দিতে এসেছেন। এছাড়াও কৌশলে তিনি ্ওই সামনে সাইনবোড সাটান নি। কারণ প্রশাসনের কোন লোক আসলে চিনতে যদি না পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, তিনি বিজ্ঞাপন দেখে তার কাছে ফোন দিয়ে ছিলেন। তারপর স্বপন তাকে সরাসরি তার সাক্ষাত করতে বলেন। তিনি তার সাথে দেখা করলে তার প্রতিষ্ঠানে ৫০হাজার টাকা অগ্রিম জামানত দিতে হবে ওই চাকরি প্রত্যাশীকে জানান। কুশাডাঙা মানব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সফিকুল ইসলাম স্বপন জানান, বিজ্ঞাপন দেয়া হয়ে ছিল। চাকরি প্রত্যাশীরা আমাদের যোগ করছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন লোক নিয়োগ করা হবে না। এছাড়াও ওই প্রতিষ্টানের নামে যা কিছু অনুদান আসে তা তিনি এলাকায় দান খয়রাত করে বলে জানান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংবাদ না প্রকাশ করতে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে দুর্গাপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, ওই উপজেলার ইউএনও ছুটিতে থাকায় আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি। তবে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০