রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিসমত গণকৌড় ইউনিয়নের কয়ামমজামপুর কয়ারবিলে শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এতে ২০০/২৫০ মন মাছ মারা গেছে বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পুকুর মালিক মোস্তফা।
গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের কয়ারবিল নামক স্থানে ২ টি পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে,উপজেলার কয়ামজমপুর গ্রামের নাছিম এর কাছ থেকে চারটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন, তাহেরপুর পৌর এলাকার মৎস্যচাষী মোস্তফা মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছচাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত রাতে তার দুইটি পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী মাছ চাষি মোস্তফার অভিযোগ, শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। সরাসরি ক্ষয়ক্ষতি করতে না পেরে গেল রাতের অন্ধকারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেন দুর্বৃত্তরা। এতে পুকুরে থাকা দুইশ থেকে আড়াইশো মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
মোস্তফা মন্ডল বলেন,আমি পুকুরে মাছ চাষ করেই কোনরকম ভাবে সংসারটা চালাচ্ছি। প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি করে আসছে। গেল রাতে দুর্বৃত্রা আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার পুকুরে থাকা প্রায় দুইশো থেকে আড়াইশো মণ মাছ মারা গেছে। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কি হবে। শত্রুতা করে আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিল এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করেছি। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো। মৎস্যচাষী মোস্তফা মন্ডল এর মেয়ে বলেন, আমর বাবার আমরা তিন বোন,আমার বাবা মৎস্য চাষী এই ব্যবসা করেই বাবা আমার পড়াশোনার খরচ বহন করে দুই বোনের বিয়ে দিয়েছে এবং মৎস্য চাষ করেই বাবা কোনরকম সংসারটা টিকিয়ে রেখেছে। দুর্বৃত্তরা রাতে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। এখন আমাদের কি হবে। যারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তাদের বিচার চাই আমি।
প্রতিবেশি একরামুল হক ও তৈয়ব আলী বলেন, মস্তফা ভাই মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। শত্রুতা করে রাতের আধারে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। তার পুকুরে থাকা সব প্রায় মাছ মারা গেছে। যারা ক্ষতি করার জন্য এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে, দুর্গাপুর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি মুঠোফোনে জানিয়েছেন অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএ/
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- k24ghonta@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০