রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হাট কানাপাড়া জোবেদা ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে গবাদিপশু প্রজনন উপকেন্দ্রটি অপসারণের দাবি উঠেছে। ডিগ্রি পর্যায়ের এই কলেজটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ শতাধিক। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটিতে পড়াশোনায় বেশ সুনাম রয়েছে। তবে কলেজের মুল ফটকের সামনে গবাদিপশুর প্রজনন উপ-কেন্দ্র গড়ে ওঠায় মারাত্নক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
প্রতিদিন কলেজ মাঠে গবাদিপশুর প্রজনন নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন কলেজটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ও কর্মচারিবৃন্দ।
দীর্ঘ দিন ধরে প্রজনন কেন্দ্রটি অপসারণের দাবিতে একাত্ততা প্রকাশ করেছেন কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সচেতন অভিভাবক মহল। দীর্ঘদিনের দাবি এখনো স্থানান্তর করা হয়নি কলেজের সামনের গবাদিপশুর প্রজনন উপ কেন্দ্রটি।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, হাট কানপাড়া জোবেদা ডিগ্রি কলেজ চত্বরে ১৯৮৪ সালের দিকে গড়ে ওঠা গো-প্রজনন উপকেন্দ্রটির কারনে কলেজের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ হারাতে বসেছে।
কলেজ চলাকালীন সময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে প্রজনন করার কারনে অনেকে এখানে ভর্তি হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়া কলেজে যাতায়াতের রাস্তার পাশেই প্রজনন কেন্দ্রটি থাকায় মল-মুত্রের গন্ধে নাকে রুমাল চেপে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ।
সরেজমিনে কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের শিক্ষার্থীরা মাঠ দিয়ে চলাফেরা করছেন। একেবারেই কলেজের ভিতরে রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের আওতায় গো-প্রজননের উপ-কেন্দ্রটি। প্রতিদিনই এখানে গোবাদি পশু নিয়ে আসেন প্রজনন ঘটাতে।
রনি ইসলাম ও সজল নামের দুই শিক্ষার্থী জানান, কলেজ মাঠেই উন্মুক্ত গরুর প্রজনন করা হয়। এতে প্রতিদিনই অস্বস্তিতে পড়তে হয় আমাদের। এছাড়া বিশ্রী গন্ধ বের হয়। কলেজ চত্বর থেকে দ্রুত প্রজনন কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজ চত্বরে উপ-কেন্দ্রে অফিস করছেন (ভিএফএ) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠারও ১০ বছর আগে গোবাদিপশু-প্রজনন কেন্দ্রটি এখানে গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দফা তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সংসদ কলেজ মাঠ থেকে এটা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে আর সেটা হয়নি।
কলেজ অধ্যক্ষ আব্বাস আলী বলেন, কলেজ চত্বরে গো-প্রজনন উপকেন্দ্রটি গড়ে ওঠার কারনে পরিবেশ দূষন হচ্ছে। পাশাপাশি লেখাপড়া সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকছে না। তাই প্রজনন উপকেন্দ্রটি দ্রুত স্থানান্তর করা উচিৎ। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র জায়গার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বলেন, বিষয়টি নিয়ে এর আগে আমরা কথা বলেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানাবেন বলেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন,সরেজমিনে কলেজটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০