খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা ও নেপালের ওপর থেকে প্রভাব হারিয়েছে ভারত, বাংলাদেশের ওপর থেকেও হারাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তিনি বলেন, আগামীতে ভারতকে দুটি পাকিস্তানের মোকাবেলা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার নতুন বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। রাইট টু ফ্রিডম নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সাতবোন রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতের করিডোর দরকার। মিজোরাম, লাগাল্যান্ড ও মনিপুরে বিদ্রোহ আছে। এসব রাজ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, এজন্যই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করছে ভারত। ভারতের জন্য লাভজনক বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। ভবিষ্যতে আমি ভারত নিয়ে লিখব।
সিনহা বলেন, আমি এমন কাউকে পাইনি যে আমাকে সহায়তা করবে। কোনো অর্থ, কোনো সাহায্য, কোনো প্রকাশক কিংবা দাতাও খুঁজে পাইনি।
তিনি বলেন, এখন আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। আমি একজন শরণার্থী। আজ, এখনো আমি একজন শরণার্থী। আমাকে একের পর এক লড়াই করে যেতে হয়েছে। কিছু বন্ধু আমাকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না। তারা আমাকে অনুরোধ করেছেন, যাতে তাদের নাম প্রকাশ না করি।
‘তারা বলেছেন, যদিও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, কিন্তু আমাদের পরিবার ও স্বজনরা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। এতে তারা সমস্যায় পড়তে পারেন।’
তিনি বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু দেশে এখনো বৈষম্য রয়েছে, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র নেই।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, আমি কখনও রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না, আমি রাজনীতি ঘৃণা করি, কারণ যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৭৪ সাল থেকে আমি দেখছি… আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নিইনি।
সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, সরকার অভিযোগ করছে, কিছু রাজনৈতিক দল আমাকে সাহায্য করছে। এমনকি এও বলেছেন, লন্ডন থেকে জামায়াতে ইসলামীর একজন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক আমাকে সাহায্য করেছে।
‘রাজনৈতিক কেউ আমাকে এ কাজে সহযোগিতা করেনি। কেবল কয়েকজন সিনিয়র সিটিজেন, যারা ডক্টর, প্রফেসর, জার্নালিস্ট আমাকে হেল্প করেছেন।’
বইটি প্রকাশে একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেন, বইটি প্রকাশ করেছে অ্যামাজন।
পদত্যাগের পর দেশে সরকারের তরফ থেকে বিচারপতি সিনহার যেসব দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে, সেসব বিষয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া এ অনুষ্ঠানে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমি লড়ছি আইনের শাসনের জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে। কারণ আমার এখন আমাদের দেশে কিছু প্রকাশ করতে পারি না।
‘আপনারা দেখবেন, কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই দুই থেকে তিনশ সাংবাদিক রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, কারণ তারা স্বাধীনভাবে কিছু লিখেছিলেন।’
তার ভাষায়, মহান যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত-স্বাধীন পরিবেশে মানবাধিকার সংরক্ষিত বলেই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ তার হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০