খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :
মাদারীপুরের কালকিনিতে দুই কিশোরীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা এবং ডাসার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন সালিশ-মীমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, মাদারীপুরের কালকিনির ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পঞ্চম ও সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া দুই কিশোরীকে বুধবার আটিপাড়া এলাকার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে শাকিব, জাকির মোল্লার ছেলে নয়ন, মন্নান খানের ছেলে আল-আমিন, হুমায়ুন হাওলাদারের ছেলে হৃদয় ও তার বন্ধুরা তুলে নিয়ে নয়নের চাচা মাহবুব সর্দারের নির্জন বাড়িতে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে কিশোরীদের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। তবে পালিয়ে যায় শাকিব, নয়ন, রবিউল, হৃদয়, আল-আমিন ও তার বন্ধুরা।
ডাসার থানার এসআই দেলোয়ার ও বালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা সালিশ-মীমাংসার নামে বখাটেদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে এবং দুই কিশোরীর পরিবারকে মামলা না করা ও বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি-ধমকি দেয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা শুক্রবার তা জানতে পারে।
নির্যাতনের শিকার এক কিশোরীর স্বজন বলেন, আমরা গরিব মানুষ, তাই আমাদের পক্ষে কেউ নেই। এখানের মাতব্বররা সালিশ-মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে আমাদের মামলা করতে দেয়নি। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়েছে ও মেয়েকে কয়েক দিন লুকিয়ে রাখতে বলেছে। তাই মেয়েকে ওর মামা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। আরেক কিশোরীর স্বজন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আপনাদের কাছে কিছু বললে আমাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, দেলোয়ার দারোগা ও মতিন মোল্লা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার নাম করে তিন লাখ টাকা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।
এ কারণেই নাকি মামলা হয়নি। তবে সালিশ-মীমাংসা করে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মতিন মোল্লা। তিনি বলেন, মেয়ে পক্ষের লোকজন বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে আমার কাছে এসেছিল।
তবে পরের দিন সকাল ১০টায় আমার কাছে আসার কথা থাকলেও তারা আসেনি। আমি টাকাও নিইনি মীমাংসাও করিনি। টাকা নিয়ে সালিশ-মীমাংসার ব্যাপারে ডাসার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা তো নেগেটিভ কথাই ভালো শুনেন।শুনলে তো কিছু করার নেই। তবে আপনারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুন। তবে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে শুক্রবার গভীর রাতে ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার বলেন, এ ঘটনা সালিশযোগ্য নয়। অবশ্যই মামলা হবে। যদি কোনো পুলিশের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০