নিজস্ব প্রতিবেদক :
টানা তাপদাহের পর অবশেষে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে রাজশাহীর আবহাওয়া গরম থেকে শীতলে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় রাজশাহীর মানুষ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিক থেকে রাজশাহীর আকাশে ঘন কালো মেঘ জমতে শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর থেকে ধূলি ঝড় শুরু হয়। প্রায় ২৫ থেকে ২৫ মিনিট ধূলি ঝড় হয়। এ সময় রাস্তা দিয়ে যান
চলাচল কমে যায়। আর ধূলি ঝড়ের কারণে পথচারীরা বিপদের মধ্যে পড়েন। রাত সোয়া ৮টার দিক থেকে বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরু হলে রাজশাহীর আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যায়।
বাতাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই নগরজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় নগর ঘুটঘুটে অন্ধকারে পরিণত হয়। চারিদিকে শুধু কালো অন্ধকার দেখা যায়। বৃষ্টি ও বাতাস হলেও কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। শুধু রাজশাহী মহানগর নয় জেলার ৯ টি উপজেলাতেই বৃষ্টি ও
ঝড় হয়েছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।বিশেষ করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে রাজশাহীতে দুই দিন বৃষ্টি হয়। তারপর থেকে পড়ে প্রচন্ড তাপদাহ। তাপদাহে রাজশাহীর মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাজশাহীতে নেমে আসে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কর্মজীবী ও দিনমজুররা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন। বেশি সময় ধরে তারা মাঠে কাজ করতে পারেননি। বৃদ্ধ ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সকাল থেকে
প্রায় বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত সূর্যের প্রখরতা ছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ০ ডিগ্রি। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ।
আর/এস
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০