খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। ক্লাবটির সমার্থক শব্দও বলা যায় তাকে। ১৯৮৬ থেকে টানা ২৭টি মৌসুম এ ঐতিহাসিক ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ফার্গুসন। জিতেছেন অনেক শিরোপা, পেয়েছেন নানান সাফল্য।
শুধু শিরোপা জেতা বা সাফল্য অর্জনেই অনন্য ছিলেন না ফার্গুসন, নিত্যদিনে নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনেও তিনি ছিলেন সবার চেয়ে আলাদা। তেমনই একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন ইউনাইটেডের হয়ে সাড়ে ৮ মৌসুম খেলা ফরাসি ডিফেন্ডার প্যাট্রিস এভরা।
একবার প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির সময় অনুশীলন শেষ করে হোটেলে ফেরার সময় অপেক্ষমাণ ভক্ত-সমর্থকদের অটোগ্রাফ না দিয়েই বাসে উঠে গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। যা দেখে রীতিমতো রেগে আগুন হয়েছিলেন ফার্গুসন।
খেলোয়াড়রা না দিলেও, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সবাইকে অটোগ্রাফ দিয়ে তবেই বাসে ওঠে স্যার ফার্গুসন। পরে বাসে এসে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ঝাড়ি দিয়ে নিচে নামান, অটোগ্রাফ দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘এই মানুষগুলোই তোমাদের স্যালারি দিচ্ছে, যাও নিচে গিয়ে অটোগ্রাফ দাও।’
কোচের এ কথা শুনে হুশ ফেরে খেলোয়াড়দের। সবাই নিচে গিয়ে অটোগ্রাফ দিয়ে আসেন অপেক্ষায় থাকা ভক্ত-সমর্থকদের। ফার্গুসনের চরিত্রের বিশেষত্ব জানাতে গিয়ে এ ঘটনার কথা মনে করেছেন এভরা।
তিনি বলেন, ‘বাসে ওঠার আগে আমরা খুবই ক্লান্ত ছিলাম। সত্যি বলছি, সেখানে ফ্যানদের অনেক লম্বা লাইন ছিল। খেলোয়াড়রা তাই ভাবল, যদি একজনও অটোগ্রাফ না দেই, তাহলে প্রত্যেকেই বেঁচে যাব। তাই আমরা সবাই সরাসরি বাসে উঠে যাই, কাউকে অটোগ্রাফ না দিয়ে।’
‘কিন্তু বাসে ওঠার পর জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন প্রত্যেকটা মানুষকে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। সত্যি বলছি, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলেছে এই পর্ব। তিনি প্রত্যেককে অটোগ্রাফ দিয়েছেন। আমি তখন বাসের সবাইকে বললাম, বস যখন আসবেন, তখন আমাদের খবর আছে।’
সত্যিই তাই হলো, ‘তিনি (ফার্গুসন) বাসে এসে রাগ ঝেড়ে বললেন, ‘তোমরা নিজেদের কী মনে করো? এই মানুষগুলো তোমাদের স্যালারি দিচ্ছে, তোমাদের দেখতে মাঠে আসছে। যাও এখন নিচে গিয়ে সবাইকে অটোগ্রাফ দাও। আমাদের তাই করতে হলো, প্রত্যেকটা মানুষকে অটোগ্রাফ দিলাম। তবে এটাই দারুণ মানসিকতা সত্যি বলতে।’
খবর২৪ঘন্টা/নই
উপদেষ্টা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম জুলু, প্রকাশক ও সম্পাদক : নাজমুল ইসলাম জিম, অফিস : আর,ডি,এ মার্কেট ২য় তলা,সাহেব বাজার, ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ই-মেইল:- [email protected], মোবাইল: ০১৭১১-৯৪৩৪৭১, ০১৭১৫০৫৭৪৪০